

বাংলাদেশের হারের দিনে ইশ সোধি একাই তুলেছেন ৬ উইকেট। নানাদিক দিয়ে এই ছয় উইকেট সোধির জন্য ‘স্পেশাল’ হয়ে থাকবে। তাঁর নিজের ক্যারিয়ার-সেরা তো বটেই, নিউজিল্যান্ডের পক্ষে স্পিনার হিসেবে সেরা বোলিং ফিগার ছিল এটাই। নিউজিল্যান্ডে টার্নিং উইকেট তেমন পাওয়া যায় না। সোধির মতে, দুই বছরে হয়ত একবার। কন্ডিশন অনুযায়ী ভিন্ন কিছু চেষ্টা করে যেতে হয়। তবে গতকালের উইকেট পরে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল বলেই মনে করেন এই কিউই লেগি। সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে টার্ন।
৩৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট। যেকোনো বোলারের জন্যেই স্বপ্নের মতো। তার উপর আবার ঘরের বাইরে এসে। বাংলাদেশের মিরপুরে সোধি নানাদিক দিয়েই সেরা হয়ে থাকলে। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৫৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা ভেদ করতে চাওয়া বাংলাদেশকে সোধি একাই গুড়িয়ে দিয়েছেন শনিবারের ম্যাচে। ম্যাচ শেষে কথা বলেছেন সংবাদ সম্মেলনে।
“উইকেট অবশ্যই শেষ দিকে ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন হয়েছে। এই কারণেই আমরা আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। অনেকে টার্নিং উইকেট দেখলে আগে বোলিং নিতে চায় দেখতে চায় কী হচ্ছে। কিন্তু এখানে উইকেটে সময়ের সাথে সাথে টার্ন বেড়েছে। শেষে আমাদের সিদ্ধান্তটিই সঠিক প্রমাণিত হল।”
সোধির উচ্চতা বেশ ভালো। লেগ স্পিনার হিসেবে বাড়তি সুবিধা দেয় কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বললেন, তাঁর চেয়ে অনেক খাটো লেগিরাও ভালো করেছে। উচ্চতা অনেকসময় সমস্যাও তৈরি করতে পারে। তবে উচ্চতা ব্যাবহার করে ভালো করার চেষ্টা সোধির থাকে।
“অনেক লেগ স্পিনার আছে যারা আমার চেয়ে খাটো ছিল। বেশি বাউন্স অনেক সময় আপনার ক্ষতিও করে ফেলতে পারে। বাউন্সের কারণে বল অনেক সময় স্টাম্পে হিট নাও করতে পারে। এক বছর আগে আমি রানআপে পরিবর্তন আনি। তবে উচ্চতাকেও ব্যবহার করার চেষ্টা করি। কাজ করে যাচ্ছি কীভাবে আরও ভালো হতে পারি। নিউজিল্যান্ডে হয়ত দুই বছরে আপনি একবার টার্নিং উইকেট পাবেন। ফলে সেখানে আপনাকে সফল হতে হলে ভিন্ন কিছু চেষ্টা করতেই হবে। নাহলে আপনি অনেক রান খরচা করে ফেলবেন।”
মিরপুরে প্রথম ওডিআই বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। সেদিনের উইকেট কিছুটা ‘স্লো’ ছিল। তবে গতকালের উইকেট নিয়ে সন্তুষ্টি চোখে পড়ল সোধির মুখ থেকেও। বলের গতি বেশি ছিল। ব্যাটার-পেসার, পাশাপাশি শেষদিকে যখন বল টার্ন করা শুরু করে, তখন স্পিনারদের জন্যেও সুবিধা তৈরি করেছে দ্বিতীয় ওয়ানডের উইকেট।