

শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা মনে করেন গত মাসে জিম্বাবুয়ের সাথে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হারার পর অধিনায়কত্ব ছাড়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ধরে রাখা উচিৎ ছিল।
এ’বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন, মিস করেছেন ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সিরিজ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অধিনায়ক হিসেবে ফিরলেও দল পেরোতে পারেনি প্রথম রাউন্ড, এরপর জিম্বাবুয়ের কাছেও হার। তারপরই অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন এই সফল লঙ্কান অলরাউন্ডার।
“ম্যাথুস আমার দেখা সেরা অধিনায়ক রঞ্জন মাদুগাল্লের পর। যখন সে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়, বোর্ডের উচিৎ ছিল টাওয়েল ছুঁড়ে না মেরে ঝুলিয়ে রাখা। আমার যদি কিছু বলার থাকে আমি বলবো এখনই তার শেষ সময় না।” জানান রানাতুঙ্গা।
ম্যাথুসের পদত্যাগের পর টেস্টে দিনেশ চান্দিমাল আর সীমিত ওভারের জন্য উপুল থারাঙ্গাকে দায়িত্ব দেয় লংকান বোর্ড। তাদের দায়িত্বের প্রথম সিরিজেই টেস্টে ভারতের কাছে ৩-০ তে সিরিজ হারে, ওয়ানডে সিরিজেরও প্রথম দুই ম্যাচ হেরে পিছিয়ে রয়েছে তারা। তার উপর স্লো ওভার রেটের শাস্তি হিসেবে এই সিরিজের বাকী ম্যাচগুলোও নিষিদ্ধ নতুন অধিনায়ক থারাঙ্গা। সিরিজের বাকী ম্যাচগুলোর দলপতির দায়িত্ব পালন করবেন কাপুগেদারা।
গত জুনে ৩০ বছরে পা দেওয়া ম্যাথুস অনূর্ধ্ব ১৯ থেকেই অধিনায়কত্ব করে আসছেন, শ্রীলংকা জাতীয় দলের হয়ে প্রথম দায়িত্ব পান ২০১২ সালে। আর পরের বছরই তাকে টেস্ট দলের দায়িত্বও দেওয়া হয়, তার অধীনেই ২০১৪ সালে প্রথমবার ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতে শ্রীলংকা।
রানাতুঙ্গা আরও যোগ করেন,” গতবছর যখন র্যাংকিংয়ের ১ নম্বর দল অষ্ট্রেলিয়াকে টেস্ট সিরিজ ধবলধোলাই করা হয় তখন অনেইক কৃতিত্ব নিয়েছল, কিন্তু যখনই হারা শুরু হয়েছে বলির পাঁঠা হলেন ম্যাথুস, সব দোষ তার হয়ে গেল। সে যথেষ্ট ইতিবাচক মানসিকতার কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কয়েকটা পরিবর্তন ও হার তার আত্ববিশ্বাস নেতিবাচক করে দিয়েছে।”
আগামী রোববার ভারতের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে(৩য় ওয়ানডে) নামবে শ্রীলঙ্কা।