

বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের পেসেই কুপোকাত হলো। একটা চেষ্টা করেছিলেন বটে সাকিব-মুশফিক মিলে। সেই শত রানের জুটিই সই। বাকিরা ছিলেন মোটামুটি আসা-যাওয়ার মধ্যে। ফলে বাংলাদেশ দল ৩৯ তম ওভার খেলতে গিয়েই সব উইকেট হারিয়ে তুললেন ১৯৩ রান। পাকিস্তানের জন্য ১৯৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা লাহোরের পিচে।
সাকিব আল হাসান পর পর ৩ ম্যাচে টস জিতলেন। লাহোরের ফ্লাট পিচে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত বেশ অনুমেয়। তাই নিলেন। একাদশে একটা মাত্র পরিবর্তন, নাজমুল হোসেন শান্ত ইনজুরির জন্য নেই, ফিরেছেন লিটন কুমার দাস।
আগের ম্যাচের মতোই মেক-শিফট ওপেনার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ নামলেন। সাথে মোহাম্মদ নাঈম। পাকিস্তানের পেস সামলানো যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে, তা তো জানা। শাহীন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভার মেডেন হিসেবেই গেল। পরের ওভার করতে এলেন নাসিম শাহ। ওভারের প্রথম বলেই মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট তুলে নিলেন। আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান এদিন ফিরেছেন গোল্ডেন ডাকে। কাজ করেনি পরিকল্পনা।
শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ, দলে ফেরা লিটনের ব্যাটে ভরসা খুঁজতে থাকল। চারটি বাউন্ডারিও মারলেন। কিন্তু এবার শাহীনের উঠে আসা বলে খাবি খেলেন লিটন। ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে ফিরলেন ১৩ বলে ১৬ রান করে। নাঈমের ব্যাটেও বাউন্ডারি এসেছে ৪ টি। মনে হলো পিচে সেট হওয়ার উপায় খুঁজছেন। লিটন যাওয়ার পর নাঈমও খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হন নি। হারিস রউফের শর্ট আর পেস নাঈমকে কাবু করে দেয়, পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন ২৫ বলে ২০ রান করে।
এদিনও ব্যর্থ তৌহিদ হৃদয়। রউফের বলে ব্যাটের ফাঁক গলে স্টাম্পে আঘাত হানে বল৷ ফলে দলীয় ৪৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ দল।
ক্রিজে তখন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দলের এমন বিপদসংকুল অবস্থায় অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন দিতে, দুই ব্যাটার বেশ ভালো ছন্দে ব্যাট করতে থাকেন। দুই ব্যাটারের জুটি বেশ আশা যোগাতে থাকে বাংলাদেশ দলকে। শুরুর ধাক্কা সামলিয়ে ১০০ রানের জুটিতে যখন সাকিব-মুশফিক, তখন সাকিব ফাহিম আশরাফের বলে হালকা এফোর্টের শট খেলে আউট হয়ে ফিরলেন। ৫৭ বলে ৫৩ করেন এই ব্যাটার।
মুশফিক তখন ৪৮ রানে ক্রিজে। নতুন ব্যাটার শামীম হোসেন নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমে, শাহিনের বলে ৬ হাঁকিয়ে দিলেন একটি। তবে টিকতে পারেননি, ২৩ বলে ১৬ রান করে ফিরে গেছেন। পরবর্তীতে মুশফিক ফিরলেন ব্যক্তিগত ৮৭ বলে ৬৪ রানে। এরপর আর তেমন কেউ দাঁড়াতে পারেনি। আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে ১২ টি রান আসে৷ বাকিরা ফিরেছেন একে একে। ফলে ৩৮.৪ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বোলারদের পক্ষে হারিস রউফ একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। নাসিম শাহ ৩ উইকেট পেয়েছেন।