বৃষ্টি শেষে ভারতের ১০ উইকেটের জয়

ভারত
Vinkmag ad

নেপাল ও ভারত উভয় দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। সুপার ফোরে যেতে দুই দলকেই জিততে হতো। এমন সমীকরণে নেপাল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান সংগ্রহ করে। ২৩১ রানের লক্ষ্যমাত্রা বৃষ্টির বাঁধায় ছোট হয়ে আসে ২৩ ওভারে ১৪৫ রানে। সেটা টপকাতে ভারতের দুই উদ্বোধনী ব্যাটারই ছিল যথেষ্ট। রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল মিলে নির্ধারিত ওভারের আগেই দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। ফলে কার্টেল ওভারের ম্যাচে ১০ উইকেটের জয় পায় রোহিতের দল। নিশ্চিত হয় ভারতের সুপার ফোর।

এর আগে ২৩১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামা ভারত ২.১ ওভারে বিনা উইকেটে ১৭ রান করলে, পাল্লেকেলের মাঠে নামে বৃষ্টি। দীর্ঘক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর, ২৩ ওভারে ১৪৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়ে খেলা শুরু হয়। ভারতের দুই ওপেনিং ব্যাটার মিলেই দলের খেলা শেষ করেন। শুবমান গিলের ব্যাট থেকে আসে ৬২ বলে ৬৭ রান। অন্যদিকে রোহিত শর্মা করেন ৫৯ বলে ৭৪ রান।

এই ম্যাচ জিতে ভারতের অর্জন ২ পয়েন্ট। এবং আগের এক পয়েন্ট মিলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত হলো দলটির। একই গ্রুপ থেকে সুপার ফোরের অন্য দলটি পাকিস্তান। নিজেদের খেলা প্রথম এশিয়া কাপে কোন ম্যাচ না জিতেই আসর শেষ করল নেপাল।

শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টসে জয় লাভ করে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বৃষ্টির সম্ভাবনা আগে থেকেই ছিল। তবে ম্যাচের শুরুতে বৃষ্টির আঘাত দেখা যায়নি। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ ছিল ৩৭ ওভার শেষ হলে। নেপালের ব্যাটাররা দারুণ জবাব দিয়েছেন ব্যাটে। ভারতের মত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ব্যক্তিগত রানের খাতায় ৫৮, ৪৮, ৩৮- এমন স্কোর চোখে পড়েছে। শেষ পর্যন্ত নেপালের রান থামে ২৩০ এ।

শুরুটা ভালোই ছিল এশিয়া কাপ খেলা নতুন দলটির জন্য। ব্যাটিংয়ে আত্মবিশ্বাস টের পাওয়া যাচ্ছিল। উদ্বোধনী দুই ব্যাটার কুশাল ভুর্তেল ও আসিফ শেখ মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৬৫ রান। এরমধ্যে ভারতীয় ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়াও কিছুটা দেখা যায়। প্রথম ৫ ওভারের মধ্যেই ৩ টি সহজ ক্যাচ মিস করেন ফিল্ডাররা। ভুর্তেল ২৫ বলে ৩৮ করলেন, ফিরলেন শার্দুল ঠাকুরের বলে। অর্ধশতক হয়নি দুঃখজনকভাবে।

তবে আরেক ব্যাটার আসিফ ঠিকই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচে ৫৮ রান করে ফিরেছেন। তবে আসিফ ফেরার আগে ফিরেছেন আরও ৩ ব্যাটার। তাই আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিল নেপালের মিডল-অর্ডার। আসিফ যখন ফেরেন, তখন দলীয় রান ১৩২, ৫ উইকেট হারিয়ে।

গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের সতীর্থ ছিলেন দিপেন্দ্র সিং আইরি। আইরি ও সোমপাল কামি মিলে গড়লেন আরেক জুটি। আইরির ব্যাট থেকে আসে ৩ টি চারের মার। স্ট্রাইক রোটেড করে দলের রান এগিয়ে নিয়েছেন, যতদূর সম্ভব হয়। সাথে ছিলেন সোমপাল। দুজনের জুটি অর্ধশতক পূরণ করে। কিন্তু থামে সেখানেই। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে লেগ বিফোরের শিকার হন আইরি, ফিরে যেতে হয় ২৫ বলে ২৯ রান করে। দলীয় রান তখন ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৪। চলছিল ৪২ ওভারের খেলা।

সোমপাল ছিলেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে আসেন স্বন্দীপ লামিচানে। লামিচানেকে সাথে নিয়ে আবারও নতুন জুটি গড়ার চেষ্টা চোখে পড়ে সোমপালের ব্যাটে। ৪৬ তম ওভারের শেষ বলে পান্ডিয়াকে উড়িয়ে মারলেন, বল গিয়ে পড়ল বাউন্ডারির বাইরে, ছক্কা। শর্ট বলে নেপালের খেলোয়াড়দের ভাল চার্জ করতে দেখা যায়। পরের ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের শেষ বলেও ছয় হাঁকান সোমপাল। ৪৭ ওভার শেষে তাই দলীয় রান তখন ২২৭।

৪৮ তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে দারুণ এক ক্যাচ নেন ইশান কিষান। ফলে ৫৬ বলে ৪৮ রান করে ফিরতে হয় সোমপালকে। ভাঙ্গে লামিচানের সাথে ৩৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ এই জুটি। সোমপাল যাওয়ার পর পরের ব্যাটাররা আর তেমন কিছু করতে পারেননা। লামিচানে ১৭ বলে ৯ রান করে রানআউট হয়ে ফেরেন। ৪৮.২ ওভারে ২৩০ রানে গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস।

ভারতীয় বোলারদের পক্ষে, রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ সিরাজ নিয়েছেন ৩ টি করে উইকেট। শার্দুল ঠাকুর, হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামি পেয়েছেন ১ টি করে উইকেট।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

ভারতের বিরুদ্ধে দাপট দেখাল নেপালের ব্যাটাররা

Read Next

বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকছেন কেন উইলিয়ামসন

Total
0
Share