

বাংলাদেশ যা করতে চেয়েছিল তাই করেছে। লাহোরে আফগানিস্তানকে এমন ব্যবধানে হারিয়েছে যে টেবিলে এখন রান রেট যথেষ্ট শক্তিশালী। এসএল-আফগান খেলার আগেই বাংলাদেশ যোগ্যতা অর্জন করেছে সুপার ফোরে! অধিনায়ক সাকিবের
নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মেহেদি হাসান মিরাজের কাঁধে গড়া একটি জয়, যাদের সেঞ্চুরি স্কোরবোর্ডে বিশাল সংগ্রহ এনে দেয়। তারপর বল হাতে শরিফুল, তাসকিন’রা গতির ঝড় তুলে নাকাল করেছে আফগান ব্যাটিং লাইনকে। আফগানদের ২৪৫ রানে আটকে দিয়ে বাংলাদেশ তুলে নেয় ৮৯ রানের বড় জয়। আর তাতেই সাকিবদের নিশ্চিত হয়ে যায় সুপার ফোর পর্ব।
লাহোরের ঐতিহাসিক গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসান অধিনায়ক হয়ে প্রথমবারের মতো নামেন টস করতে। পাল্লেকেলের মতো লাহোরে ভাগ্য দিয়ে সাকিব জিতে যান টস। ব্যাটিং হাইওয়ে পেয়ে ব্যাটাররা ছিলেন চেনা ছন্দে, রানের গতি বাড়তে থাকে বাংলাদেশের। অবশ্য দারুণ শুরুর পরও পাওয়ার-প্লেতেই ফিরে যেতে হয় নাইম শেখকে। এরপর বিপর্যয় সাড়া দিলেও পার্টনারশিপের কাব্য লিখে ফেলেন ওপেনার মিরাজ ও চারে নামা শান্ত। এই দুইয়ের জোড়া শতকেই বাংলাদেশ গড়ে রানের পাহাড়। এশিয়া কাপের ইতিহাসে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ, ৩৩৪!
সাকিব আল হাসান ম্যাচ শেষে বলেন কিভাবে কী সিদ্ধান্ত নিলেন,
‘আমরা অলরাউন্ড খুব ভালো খেলেছি। ফিল্ডারদের জন্য ৫০ ওভার খেলে এরপর এসে ব্যাট করা সহজ ছিল না, তাই আমরা টস জিতে সত্যিই ভাগ্যবান ছিলাম। [মিরাজের প্রমোশন] সে অর্ডার আপ করার সুযোগ পেয়েছে এবং নিজেকে প্রমাণ করেছে, আমরা সবসময় জানতাম তার ক্ষমতা আছে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা সত্যিই ভালোভাবে বাস্তবায়ন করেছি, ফাস্ট বোলাররা বিশেষ করে তাদের উজার করে দিয়েছে। এটা বোলিং করার জন্য সহজ উইকেট ছিল না।’
লাহোরে বাংলাদেশের দাপটের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি আফগানিস্তান। ৩৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শরিফুল, তাসকিনদের আগুন বোলিংয়ের সামনে পড়ে ২৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানরা। তাসকিন তুলে নেন ৪ উইকেট। ৪ ইকোনমিতে শরিফুলের দখলে ৩ উইকেট। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দল পেল ৮৯ রানের বড় জয়। এই জয়েই টুর্নামেন্টের সুপার ফোর নিশ্চিতই করে ফেললো সাকিবরা। ‘বি’ গ্রুপে সবার আগে পেল পরের রাউন্ডের টিকিট।