

সাবেক জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক, ফাস্ট বোলার; বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ, হিথ স্ট্রিক না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। গত ২৩ আগস্ট তার মৃত্যুর খবর ছিল একটি গুজব। আমার মৃত্যু হয়নি, এমন তথ্য নিজেকেই নিশ্চিত করতে হয়েছিল। এবার সত্যিই চিরতরে বিদায় নিলেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম।
হিথ স্ট্রিক না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন, এমন খবর এবার নিশ্চিত করেছেন তাঁর সহধর্মিণী। এর আগে (২৩ আগস্ট) একবার স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে জানা যায়, তিনি বেঁচে আছেন। তবে এবার অসুস্থতার কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হলো এই জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তীকে।
স্ট্রিকের স্ত্রী নাদিন স্ট্রিক এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে লিখেছেন,
“আজ সকালে, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, রবিবার; আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা এবং আমার সুন্দর সন্তানদের পিতাকে তাঁর বাড়ি থেকে ‘এঞ্জেলস’রা এসে নিয়ে যায়। যেখানে তিনি তাঁর পরিবার ও প্রিয়জনদের সাথে শেষ দিনগুলি কাটাতে চেয়েছিলেন। তিনি ভালোবাসা ও শান্তি দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিলেন এবং একা তাঁর সময়গুলো কাটাননি। আমাদের আত্মা অনন্তকালের জন্য যোগ হয়, স্ট্রিকিই। যতক্ষণ না আমি তোমাকে আবার ধরে রাখি।”
হিথ স্ট্রিক ৬৫ টেস্ট, ১৮০ ওডিআই খেলেছেন নিজ দেশ জিম্বাবুয়ের হয়ে। অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত। এখনো জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা বোলারের ক্ষেত্রে স্ট্রিকের নাম চলে আসবে। সবমিলিয়ে ৪৪৫ উইকেট আছে তাঁর ঝুলিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানও করেছেন। ৪ হাজার ৯৩৩ রান। পাশাপাশি আছে এক সেঞ্চুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।
স্ট্রিকের বাংলাদেশ অধ্যায় শুরু হয় ২০১৪ সালের মে মাস থেকে। আসেন বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ হিসেবে। দুই বছরের সময়কালে স্ট্রিকের অবদান বাংলাদেশিরা চিত্ত-ভরে স্মরণ করবে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন। তাঁর সময়েই মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ; এই পেসারদের উত্থান ঘটেছে।
এরপর হিথ স্ট্রিক বেশ কিছু কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েন। আইসিসি থেকে স্ট্রিকের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অভিযোগ আনা হয়। যেখানে দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। এমনকি জিম্বাবুয়ের হয়ে দায়িত্ব পালনকালে এবং বাইরের টি-টোয়েন্টিক লিগেহ দায়িত্ব পালনকালেও, দলের তথ্য বাইরে পাচার করার সত্যতা মেলে এই কোচের বিরুদ্ধে। তবে স্ট্রিক ‘ম্যাচ ফিক্স’ করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। আইসিসি থেকে স্ট্রিককে শাস্তি দেওয়া হয়। যেখানে যেকোনো ধরনের ক্রিকেট কর্মকাণ্ড থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত দূরে থাকতে হবে তাঁকে।