ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ে জিতল না কেউ

ভারত পাকিস্তান
Vinkmag ad

বৃষ্টির বাঁধায় যে খেলা পড়বে, তা জানা গিয়েছিল আগেই। ভারতের ইনিংসেও দু’বার বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তারপরেও পুরো ইনিংস ওঠে, ভারত সব উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ তোলে ২৬৬ রানের। পাকিস্তানের ইনিংস আর শুরু হয়নি। বৃষ্টির আসা-যাওয়ার মধ্যে পেরিয়ে যেতে থাকে ম্যাচের সময় আর বেড়ে যেতে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। ফলে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়েছে।

বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পণ্ড হওয়ায় দল সমান পয়েন্ট ভাগ করে নিবে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দ্বিতীয় ইনিংস না দেখেই ফিরে যেতে হলো দর্শকদের।

এর আগে প্রথম ইনিংসে কী হয়েছিল তা জানা যাক। শাহীন শাহ আফ্রিদি নতুন বলে কতটা আগ্রাসী থাকেন, তাই নিয়ে নানা আলোচনা ছিল। সেই প্রমাণ এই বোলার দেখিয়ে দয়েছেন শুরুতেই রোহিত শর্মা ও ভিরাট কোহলির উইকেট নিয়ে। সেইসব অসাধারণ ডেলিভারি রোহিত-ভিরাট বুঝতেই পারেননি। ব্যাট গলে স্টাম্প খুঁজে নিল বল। ইনসাইড হয়েও মেলেনি মুক্তি। তাই দলীয় ২৭ রানেই গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট হারানোর বেদনা এড়াতে পারেনি ভারত।

শুবমান গিল এক প্রান্ত আগলে ছিলেন। সে আগলে থাকায় দলের রানে তেমন উপকার মেলেনি। অন্যদিকে চোট থেকে ফেরা শ্রেয়াস আইয়ারের চেষ্টা লক্ষণীয় ছিল। দুই চারে মনে হয়েছিল, বড় কিছু হতে পারে। তবে হয়নি। আইয়ারও ফিরলেন ব্যক্তিগত ১৪ রানে। হারিস রউফের শর্ট বলে পুল খেলতে গিয়ে ত্রিশ গজ বৃত্তেই ফখর জামানের হাতে আটকে যান এই ব্যাটার। আর টুকটুক করে খেলতে থাকা গিলও নিজেকে হারিয়ে বসলেন রউফের বলে, এবার তিনি বোল্ড।

পরের গল্পটা ভারতীয়দের জন্য স্বস্তির। ৫ নম্বরে নেমেছিলেন ঈশান কিষান। লোকেশ রাহুল ফিট থাকলে ইশানের খেলা হতো কি না, তা এক প্রশ্ন কিন্তু। এদিন বিপদের সময় ভারতের জন্য ঠিকই দাঁড়িয়ে গেছেন এই ব্যাটার। অন্য প্রান্তে ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এই দুই ব্যাটার মিলে ব্যাটিং বিপর্যয় ভালোই সামলিয়ে নিলেন। ঝুঁকি নেননি। যখন সুযোগ পেয়েছেন বাউন্ডারি জন্য ব্যাট চালিয়েছেন। দুজনেই নিজেদের হাফ-সেঞ্চুরি তুললেন। নিজেদের জুটি শতক ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে থাকলেন আরো দূরে। ইশান তখন ঝুঁকি নিচ্ছিলেন। রউফের ডেলিভারিতে বাবর আজমের হাতে ধরা পড়লেন এই ব্যাটার। ৮১ বলে ৮২ রানের স্মরণীয় এক ইনিংস খেলে বিদায় নিলেন।

ইশান যখন ফিরলেন দলীয় রান তখন ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৬। রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে হার্দিক করেন আরো ৩৫ রানের জুটি। এই ব্যাটার ফিরলেন ৯০ বলে ৮৭ রান করে। বোলার সেই শাহীন। ভারতের রান তখন অনেকটা দাঁড়িয়ে গেছে। পরবর্তীতে জাদেজার ব্যাটে ১৪ রান এবং জাসপ্রীত বুমরাহর ব্যাটে এসেছে ১৬ রান। অন্যরা উইকেট হারিয়েছে এক প্রান্তে। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দল সব উইকেট হারিয়ে ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রান সংগ্রহ করে।

শাহীন শাহ আফ্রিদি একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন। নাসিম শাহ ও হারিস রউফ তুলেছেন ৩ টি করে উইকেট। অন্য বোলাররা ছিলেন উইকেটশূণ্য।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

লাহোরের পরিচিত পিচে আফগানরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী

Read Next

হাথুরুর চোখেও আফগানিস্তান ‘বিশ্বমানের’, আশা খুঁজছেন সিলেট থেকে

Total
0
Share