

টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাটাররা সেই সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিতে পারেনি। শুধুমাত্র নাজমুল হাসান শান্ত ৮৯ রান করেছেন। এটাই ছিল পুরো দলের ব্যাটিংয়ে বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স। তৌহিদ হৃদয়ের সাথে মাঝের জুটি ছিল আশা জাগানিয়া কিন্তু তা বড় হয়নি। এরপর বাকিরা ছিলেন আসা ও যাওয়ায় মধ্যে। এভাবেই ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ দল।
তানজিদ হাসান তামিমের অভিষেক ম্যাচ। একেবারেই রাঙাতে পারেননি। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয়েছে। ২ বল খেলে শূন্য রানে মাহিশ থিকশানার বলে আউট হয়েছেন তিনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশ দলের প্রথম উইকেটের পতন।
ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটার বাঁহাতি। যা নিয়ে চিন্তা ছিল, সেদিকেই পা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার স্পিনের সামনে পড়তে হয়েছে। থিকশানা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভাদের সামলাতে যে অসুবিধা হচ্ছিল, তাও স্পষ্ট একদমই। নাঈম শেখও পিচে খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারলেননা। ২৩ বল খেলে ১৬ রান করে নিজের সাথে সংগ্রাম শেষে অপ্রয়োজনীয় শটে আউট হন।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অফ স্টাম্পের বাইরের বল লেট শট খেলে আউট হলেন মাথিশা পাথিরানার বলে। একটি চার এসেছিল। ব্যক্তিগত ৫ রানে ফিরেছেন।
একপাশ আগলে পড়ে ছিলেন কেবল নাজমুল হাসান শান্ত। তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। হৃদয় লঙ্কা লিগ খেলে এসেছেন কিছুদিন আগে। তাঁর কাছে প্রত্যাশা ছিল বেশি। দুজন মিলে ৫০ পেরোনো জুটিও গড়লেন। জুটি যখন ৫৯ রানে, তখন এক লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন হৃদয়। বোলিংয়ে ছিলেন দাসুন শানাকা। এই ডেলিভারিতে রিভিউ নিবেন, এমন মনেহয় নি। কিন্তু শানাকা সাথে সাথেই রিভিউ নিলেন। ফলও পেলেন। হৃদয় ফিরলেন মাত্র ২০ রানে।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে শান্ত চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু মুশফিকও ফিরলেন দলীয় ১২৭ রানে। সেসময় ৩৩ ওভার চলছে, বাংলাদেশ হারিয়েছে ৫ উইকেট। রান তোলার ক্ষেত্রে দলটির পরিশ্রম চোখে পড়ার মতো।
পরের ব্যাটাররাও আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেওয়া ছাড়া আর কিছু করেননি। মেহেদী হাসান মিরাজ ও শান্ত মিলে ভুল বোঝাবুঝিতে মিরাজ ফিরলেন এক বাজে রান-আউটের শিকার হয়ে। শেখ মেহেদীর থেকে দল যা আশা করেছিল, তার প্রতিদানও তিনি দিতে পারেননি। লেগ বিফোর হয়ে ফিরেছেন।
সেই আগলে রাখা শান্ত-ই ছিলেন শুধু মাঠ জুড়ে। তখনো প্রায় ১০ ওভার বাকি ছিল। শান্ত এবার ফিরলেন সেই থিকশানার বলে, যিনি কিনা ৮ ওভার করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তুললেন ২ উইকেট। অসাধারণ এক ক্যারম ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড করে দিলেন শান্তকে। ফিরলেন ১২২ বলে ৮৯ রান করে। এরপর আর কোনো গল্প নেই। থাকার কথাও না। তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমানেরা একে একে ফিরলে, ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ দল। ওভার চলছিল তখন ৪২.৪।
মাথিশা পাথিরানা ৪ উইকেট, মাহিশ থিকশানা ২ উইকেট নিয়েছেন। দুনিথ ওয়েলালাগে, দাসুন শানাকা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১ টি করে উইকেট পেয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার জন্য লক্ষ্যমাত্রা ৫০ ওভারে ১৬৫ রান।