

ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশি ওপেনারদের ডাক-
১. নুরুল আবেদিন নোবেল, ১৯৮৬ এশিয়া কাপ, বিপক্ষ পাকিস্তান
২. হারুনুর রশিদ- ১৯৮৮ এশিয়া কাপ, বিপক্ষ ভারত
৩. রফিকুল ইসলাম- ২০০২, বিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা
৪. তানজিদ হাসান তামিম- ২০২৩ এশিয়া কাপ, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
১৯৮৬ সালের জন প্লেয়ার গোল্ড লিফ ট্রফি (এশিয়া কাপ) এ পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় নুরুল আবেদিন নোবেলের। মোরাতুয়ায় সেটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে। ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, আব্দুল কাদিরদের বোলিংয়ে দিশেহারা বাংলাদেশ অলআউট হয় ৯৪ রান করেই।
ওপেন করতে নেমে নুরুল আবেদিন নোবেল ৩ বল খেলে কোন রান না করতে পেরে আউট হন ইমরান খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ার শেষ হয় ৪ ম্যাচ খেলেই। অভিষেকের মত ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচেও কোন রান করতে পারেননি তিনি। ৪ ম্যাচে তাঁর রান সাকুল্যে ১৫।
১৯৮৮ সালের উইলস এশিয়া কাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে আমিনুল ইসলাম, আতহার আলি খান, আজহার হোসেন, নাসির আহমেদ, জাহিদ রাজ্জাকের সঙ্গে ওয়ানডে অভিষেক হয় হারুনুর রশিদের। আজহার হোসেনের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ১৪ বল খেলেও কোন রান করতে পারেননি হারুন।
বাংলাদেশ সেই ম্যাচে হারে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। হারুনুর রশিদের ওয়ানডে ক্যারিয়ার থেমেছে এর পর আর একটি মাত্র ম্যাচ খেলে। উইলস এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচেও রানের দেখা পাননি এই ওপেনার। ২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তাই কোন রান না করেই থামতে হয় তাঁর।
এরপর লম্বা বিরতি, অভিষেকে বাংলাদেশি কোন ওপেনার কোন রান না করে সাজঘরে ফিরছিলেন না। তবে ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে রফিকুল খান এই স্মৃতি আবার ফিরিয়ে আনেন। জাবেদ ওমরের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ৫ বল খেলে কোন রান না করা রফিকুল এলওর্দির বলে উইকেট দিয়ে আসেন।
রফিকুল ইসলাম এর পরে আর কোন ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। একটি টেস্ট খেললেও সেখানে ২ ইনিংসে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি।
অভিষেক ওয়ানডেতেই বাংলাদেশি ওপেনারের ডাকের স্বাদ পাবার ৪র্থ নজির দেখা গেল আজ (৩১ আগস্ট)। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ বল খেলে কোন রান করতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিম।
মাহিশ থিকশানার বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তানজিদ। এশিয়া কাপে অভিষেক হওয়া ৩য় বাংলাদেশি ওপেনার হিসাবে তিনি ফেরেন কোন রান না করে।
ওয়ানডে অভিষেকে এর আগে ডাকের স্বাদ পাওয়া কোন বাংলাদেশি ওপেনারের ক্যারিয়ার লম্বা হয় নি। তবে এই রেকর্ড নিশ্চিতভাবেই বদলাতে চাইবেন জুনিয়র তামিম।