

টেস্ট ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেওয়া ও খেলোয়াড় ধরে রাখার ব্যাপারে কাজ করবেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) নতুন চিফ এক্সিকিউটিভ স্কট উইনিঙ্ক। দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আজ (৩০ আগস্ট)। ডেভিড হোয়াইটের থেকে দায়িত্বভার নিজের কাছে তুলে নিলেন এই সাবেক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার ও ক্রীড়াপ্রেমী ভদ্রলোক।
৫০ বছর বয়সী উইনিঙ্ক। ব্যবসার সাথে জড়িত, খেলেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিপিএ) চেয়ারম্যান ছিলেন। সেখান থেকে সরে গেছেন। নতুন দায়িত্ব পেয়েছে ক্রিকেট বোর্ডে, সিইও হিসেবে।
‘এই পদটা অবশ্যই সম্মানের।’ উইনিঙ্ক বলেন।
তিনি আরো যোগ করেন, ‘আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। ক্রিকেট বিশেষ করে। পাশাপাশি খেলার মধ্যে প্রশাসনিক ব্যাপার আমার পছন্দ। তো এটা উপযুক্ত জায়গা। সম্প্রদায় ও হাই পারফর্ম্যান্স ক্রিকেটের মধ্যে একটা সুক্ষ্ম সুষম সম্পর্ক আছে। আমার অন্যতম দায়িত্ব এটা দেখাশোনা করা ও ভবিষ্যতের জন্য টেকসই রাখা।’
আগামী শুক্রবার থেকে উইনিঙ্ক নিজের দায়িত্ব কার্য শুরু করবেন। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে নিজের চাওয়া ও কর্মের জায়গাগুলো পরিষ্কার করেন। পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডে টেস্ট ক্রিকেটের চাহিদার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
‘আমি টেস্ট ক্রিকেট-রোমান্টিক। পাশাপাশি আমি দেখি, টেস্ট ক্রিকেট নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়দের খেলার মধ্যে রাখছে।’
‘আমি মনে করি, যদি আমাদের টেস্ট ক্রিকেট না থাকত, তাহলে তাদের এই বিষয়ে আগ্রহী রাখা অনেক কঠিন হতো। তারা সহজভাবে, আপনি জানেন, ফিরে আসবে এবং একটি আইসিসি (ইভেন্ট) খেলবে। তাই অবশ্যই, আমি টেস্ট ক্রিকেটের প্রচার ও প্রসারের চেষ্টা করছি এই বিষয়ে ভারসাম্য বজায় রেখে যে, আমাদের খেলায় উচ্চ আয়ের অংশগুলিও থাকতে হবে।’
উইনিঙ্ক এমন এক সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন, যখন খেলোয়াড়েরা জাতীয় দল ও ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের মধ্যে এক সংকটময় সময় কাটাচ্ছে। কেউ কেউ কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিল করছে। পুরো বিশ্ব ক্রিকেটের চিত্র এটি। এই ৫০ বছর বয়সী ভদ্রলোকের জন্য বিষয়গুলো মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরা দিবে।
ইতোমধ্যে দলের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা থেকে নিজেদের মুক্ত রেখেছেন, ট্রেন্ট বোল্ট, জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্রান্ডহোম। তাঁরা তাঁদের ইচ্ছা অনুযায়ী জাতীয় দলে খেলবেন। এরচেয়ে বরং বাইরের টি-টোয়েন্টি লিগের প্রতি মনোযোগী হতে দেখা যাবে এই খেলোয়াড়দের। এই বিষয়গুলো উইনিঙ্ক কীভাবে ভারসাম্য করবেন, তাই মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে তাঁর জন্য।