

আম্পায়ার জাহিদ বাসারাথের পকেট থেকে বের হলো লাল রঙের কার্ড। সাধারণত ফুটবল মাঠে এমনটি দেখা যায়৷ ক্রিকেট মাঠে আম্পায়ারের কাছ থেকে এমন দৃশ্য দেখা যাবে, কল্পনা করেনি কেউ আগে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) মাঠে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা গেল আজ (সোমবার) ভোরবেলা সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস বনাম ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ম্যাচে। এর ফলে, মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হয় সুনীল নারাইনকে।
নিয়মটি নতুন। এবারের সিপিএলে মন্থর ওভার-রেট থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে এই নিয়ম রাখা হয়েছে। টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত লাল কার্ডের মুখোমুখি হয়নি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত নাইট রাইডার্স এর প্রথম শিকার হলো। মাঠ থেকে বেড়িয়ে যেতে হলো নারাইনকে।
নিয়মটি এমন যে, ১৮ তম ওভার শুরুর সময় কোনো দল সময়ের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়লে বৃত্তের বাইরে থেকে একজন খেলোয়াড়কে ৩০ গজের বৃত্তে ঢুকতে হবে। এরপর ১৯ তম ওভার শেষ হলে যদিও কোনো দলকে পিছিয়ে থাকতে দেখা যায়, সেক্ষেত্রে ২ জন খেলোয়াড় বৃত্তের ভেতরে প্রবেশ করবে। মোট ৬ জন খেলোয়াড়কে বৃত্তের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। শেষ ওভারে গিয়ে যদি কোনো দলকে পিছিয়ে থাকতে দেখা যায়, তবে একজন খেলোয়াড়কে মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে। পাশাপাশি বৃত্তের বাইরে মাত্র ২ জন খেলোয়াড় অবস্থান করতে পারবে, ভেতরে ৬ জন থাকবে। অর্থাৎ পাওয়ার-প্লেতে যেরকম হয়ে থাকে, তেমন। মাঠের বাইরে কে যাবেন, তা নির্ধারণ করবে অধিনায়ক নিজে।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে আজ এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে ক্রিকেট দর্শকেরা। পোলার্ডের নেতৃত্বে নাইট রাইডার্স শেষ ওভার শুরু করতে গিয়ে সময়ের হাতে পিছিয়ে পড়ে। বিপক্ষ দল ছিল সেন্ট কিটস। আম্পায়ার পোলার্ডকে জানান নিয়ম অনুযায়ী পেনাল্টি গুণতে হবে তাঁদের। পকেটে থাকা লাল কার্ড বের করে দেখালেন ফিল্ড আম্পায়ার জাহিদ বাসারাথ। ক্রিকেট মাঠে এক নতুন দৃশ্যের দেখা মিলল। পোলার্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নারাইন মাঠের বাইরে চলে যায়। পাশাপাশি বৃত্তের বাইরে মাত্র ২ জন ফিল্ডার নিয়ে শেষ ওভার করতে হয় নাইট রাইডার্সকে।
সে ওভারে ডোয়াইন ব্রাভোর বলে ১৮ রান তুলে নেয় সেন্ট কিটস। তবে নাইট রাইডার্সের ব্যাটিংয়ের কাছে নস্যি ছিল সেন্ট কিটস। ১৭৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা পেরোতে ১৭.১ ওভার দরকার পড়ে পোলার্ডের দলের। নিকোলাস পুরান ৩২ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন।
ম্যাচ শেষে লাল কার্ডের বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন অধিনায়ক পোলার্ড। পুরো বিষয়কে ‘হাস্যকর’ হিসেবে অবিহিত করেছেন তিনি।
পোলার্ড বলেন, “সত্যি কথা বলতে, এটি প্রত্যেকের করা কঠোর পরিশ্রম কেড়ে নিবে। আমরা যেন দাবার গুটির মতো, যা বলা হবে, তা-ই করব। আমরা যতটা দ্রুত পারি খেলছি। তবে আপনি যদি এইভাবে একটা টুর্নামেন্টে ৩০-৪৫ সেকেন্ডের জন্য জরিমানা করেন, তাহলে সেটা একেবারেই হাস্যকর।”