ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকে এশিয়া কাপে পাকিস্তান

উইন্ডিজদের বিপক্ষে পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা
Vinkmag ad

আইসিসি ওডিআই র‍্যাংকিংয়ের প্রথম স্থানে উঠে গেল পাকিস্তান। জানা গিয়েছিল আগের ম্যাচ শেষেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে জয় পেলে র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ স্থানটা দখল করে নিবে তাঁরা। সেই ম্যাচে ৫৯ রানের কাঙ্ক্ষিত জয়টা চলেই এল। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের ফিফটি দলকে ভাল সংগ্রহের দিকে এগিয়ে দিয়েছে। এই ম্যাচ জয়ে সিরিজের ৩ ম্যাচেই আফগানিস্তানকে পরাজিত করল পাকিস্তান।

২৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিংয়ে একেবারে সুবিধা করতে পারেনি আফগানিস্তান। শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি ছিল শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে। আগের ম্যাচে দেড়শ করেছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ, এই ম্যাচে ফিরলেন মাত্র ৫ রান করেই। একইভাবে ইব্রাহিম জাদরানও রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে গেছেন। পাকিস্তান দলে নাসিম শাহ, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ ও উসামা মীরকে পরিবর্তন করা হয়েছিল।

রানের চাকা ঘুরাতে বেশ বেগ পেতে হয় আফগানদের। রিয়াজ হাসানের ব্যাট থেকে ৬৬ বলে ৩৪ রান আসলে, তিনিও ফিরে যান শাদাব খানের শিকার হয়ে। দলীয় ৬০ রানে ৩ উইকেটের পতন। ওভার চলমান তখন ২১। রান তোলা কতটা কঠিন করে ফেলেছিল স্বাগতিক দল, তা বোঝা যায়। ক্ষণে ক্ষণে উইকেট পড়তে তাঁকে দলটির। দলীয় ৯ ৭ রানেই ৭ উইকেট রশিদ খান ইনিংস বড় করতে পারেননি, ১৬ রানে ফিরেছেন।

এরপর শহীদুল্লাহ কামাল ও মুজিব-উর-রহমান মিলে একটি জুটি গড়েন। এই দারুণ জুটি মিলে দলের খাতায় ৫ ৭ টি রান যোগ করেন। শহীদুল্লাহ ফিরেছেন ৩ ৭ রান করে। মুজিব তখনো ছিলেন। ফরিদ আহমেদকে নিয়ে আরো ৪৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। ফলে সম্মানজনক একটা স্কোর দাঁড় করাতে পারে তাঁরা। মুজিব দারুণ ব্যাটিং পারদর্শিতা দেখান। ৩৭ বলে ৬৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভারের মাথায় ২০৯ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগান দল। হারায় সবকটি উইকেট। ফলে পর পর তিন ম্যাচেই পরাজিত হয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁদের।

এর আগে টসে জয় লাভ করা পাকিস্তান দলের ব্যাটিংয়ে বড় ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনেই পেয়েছেন অর্ধশতক। আফগানিস্তানের মত পাকিস্তানও শুরুতে মাঠে খুব বেশি রান তুলতে পারছিলেননা। প্রথম ৩০ ওভারে মাত্র ১০৩ রান তুলতে সক্ষম হয় দলটি। তবে শেষ ২০ ওভারে ১৬৫ রান আসে। যা পাকিস্তানকে লড়াই করার মত স্কোর এনে দেয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাবর-রিজওয়ান মিলে ১১০ রান যোগ করেন। কিন্তু খরচ করেন ১৪৫ বোল। শুধুমাত্র ডট বল খেলেছেন ৮৪ টি। এর আগে ফখর জামান ২ ৭ ও ইমাম-উল-হক ফিরেছেন ১৩ রান করে।

বাবরের ব্যাটে এসেছে ৬০ রান, অন্যদিকে রিজওয়ান করেছেন ৬ ৭ রান। সৌদ শাকিল সুযোগ পেয়ে প্রথম বলে চার হাঁকিয়েছেন, কিন্তু ফিরেছেন দুর্ভাগ্যজনক রানআউট হয়ে। অবশ্য সদ্য খবর অনুযায়ী, এশিয়া কাপের দলে ডাক পেয়েছেন এই ব্যাটার। শেষ দিকে মোহাম্মদ নাওয়াজ ও আগা সালমানের ব্যাট থেকে দ্রুতগতির রান আসলে পাকিস্তান ভাল রানের সংগ্রহ পায়। নাওয়াজ ২৫ বলে খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। অন্যদিকে সালমানের ব্যাটে ৩১ বলে ৩৮ রান আসে। ফলে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৬৮ রান তোলে পাকিস্তান। যা এই পিচের জন্য ছিল যথেষ্ট।

আফগানিস্তানের বোলারদের পক্ষে, গুলবাদিন নাইব ও ফরিদ আহমেদ পেয়েছেন ২ টি করে উইকেট। ফজল হক ফারুকী, মুজিব-উর-রহমান ও রশিদ খান পেয়েছেন ১ টি করে উইকেট।

পাকিস্তানি বোলারদের পক্ষে, শাদাব খান লাভ করেছেন ৩ উইকেট। শাহীন শাহ আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট। আগা সালমান পেয়েছেন ১ উইকেট।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

বিতর্কিত বিজ্ঞাপনে দেখা যাবে না বাবর-রিজওয়ানদের

Read Next

এশিয়া কাপের আগে টাইগার শিবিরে দুঃসংবাদ

Total
0
Share