

সব গুঞ্জন উড়িয়ে আজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান গত ১১ই আগস্ট ঘোষণা করেন নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম। সাকিবের নেতৃত্বে ২০১১ এর পর আরও একটি বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ আসর দিয়ে অধিনায়ক সাকিবের মিশন শুরু। এর আগে জানিয়ে গেলেন কিভাবে পেলেন ওয়ানডের ক্যাপ্টেন্সি।
২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের এক যুগ পর ২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ভারতে যাবে সাকিবের অধীনে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো মেগা আসর সামনে রেখে তামিম ইকবালের ফেলে যাওয়া অধিনায়কের সেই হট চেয়ারে সাকিব আল হাসানই বসলেন, দায়িত্ব তুলে নিলেন কাঁধে।
কিভাবে আবার নতুন এক বিশ্বকাপ আসরের আগে সাকিবের হাতে ক্যাপ্টেন্সির আর্মব্যান্ড? অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া সাকিব আজই প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের সামনে এলেন। বললেন কিভাবে কি হল,
‘পাপন ভাইয়ের সাথে কথা হল, আলোচনা হল। এরপর তো পাপন ভাই ঘোষণা করলই।‘
তামিম ইকবাল অনাকাঙ্ক্ষিত কান্ডে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর দেশের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিবই পেল গুরুভার। সাকিবের অধীনে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের মিশনে দেশ ছাড়ার আগের দিন আজ মিরপুরে জানালেন দলের সম্ভাবনা ও পরিকল্পনার কথা। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে কিভাবে করতে চান শুরুটা।
‘দলের খেলোয়াড়দের সাথে কোচিং স্টাফরাই ওইদিন কথা বলেছে। আমার বেশি কিছু বলতে হয়নি, এমন তো না যে নতুন আসছে আমিতাদের চিনি না। হয় আমি তাদের অধীনে খেলেছি, বা তারা আমার সাথে খেলেছে। যারা নতুন এসেছে তাদের কাছেও আমার ব্যাপারে, কোচের ব্যাপারে ধারনা আছে। আমিও তাদের ব্যাপারে ভালো জানি। আর এখন তো দলের সবাই জানে কার কার দায়িত্ব কি, কি করতেহবে ড্রেসিংরুমের জন্যে।‘
২০১১ এর অধিনায়ক সাকিব থেকে ২০২৩ এর অধিনায়ক সাকিব অনেক বেশি অভিজ্ঞ, পরিণত। তার হাতেই এবার বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখছে দেশ। সাকিব নিজেও শুনিয়ে গেলেন এই দল নিয়ে সম্ভাবনার কথা,
‘যদিও ওটা আমার অনেক অল্প বয়সে ছিল। অভিজ্ঞতা অর্জনের একটা ব্যাপার ছিল। যেহেতু এখন অভিজ্ঞতা অনেক বেশি আছে, আগের দল থেকে এই দল অনেক ভালো। তাই আমাদের ভালো করার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো করতেচাই। আর তাহলেই ভালো একটা টুর্নামেন্ট যাবে।‘