

প্রথম ওয়ানডেতে আফগান ব্যাটাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারেন নি, দলীয় সংগ্রহ যেখানে ছিল মাত্র ৫৯ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে যেন অন্য এক আফগানিস্তানকে চোখে পড়ছে। আরো বেশি চোখে পড়ছে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। এই ওপেনিং ব্যাটার আজ (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তানের বিপক্ষে হাঁকিয়েছেন এক সেঞ্চুরি। যে সেঞ্চুরির কল্যাণে পিছনে ফেলেছেন বাবর আজম-হাশিম আমলাদের। শেষপর্যন্ত নিজের এই অতিমানবীয় ইনিংস গুরবাজ শেষ করেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫১ (১৫১) রানে।
আগের ম্যাচে ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ১৮ রান। সেটাও ছিল দলের হয়ে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পুরোপুরি অন্য এক আফগান দল। গুরবাজের সাথে ইব্রাহিম জাদরানের জুটি ২০০ ছাড়িয়ে যায়।
জাদরান ৮০ রান করে আউট হলে, ২২৭ রানে থামে সে জুটি। তবে এর ফাঁকে গুরবাজ হাঁকিয়ে নেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক। শতক হাঁকিয়েই থামেননি। যোগ করেছেন আরো ৫০ টি রান। সবমিলিয়ে ১৫১ বলে ১৫১ রানে থামেন গুরবাজ। ইনিংসে ছিল ১৪ টি চার ও ৩ টি ছয়। এটিই গুরবাজের ওডিআইতে সর্বোচ্চ রানের স্কোর। এর আগে ১৪৫ রান ছিল সর্বোচ্চ, যা করেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে, এবছরই।
View this post on Instagram
বয়সটা মাত্র ২১। এরমধ্যেই ৫ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে। আজ যখন পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বসলেন, তখন তিনি পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের বাবর আজম, শ্রীলঙ্কার উপুল থারাঙ্গা, ভারতের শিখর ধাওয়ান, দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলাদের। দ্রুততম ৫ ওডিআই সেঞ্চুরি। এই মর্মে গুরবাজ আছেন এখন ৩ নম্বরে। মাত্র ২৩ ইনিংস খেলে এই অর্জন তাঁর। গুরবাজের উপরে আছেন পাকিস্তানি ইমাম-উল-হক ও দক্ষিণ আফ্রিকান কুইন্টন ডি কক। উভয়েই ১৯ ইনিংসে নিজেদের ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ টি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন।
গুরবাজের আজকের সেঞ্চুরি করতে ১২২ বল খরচ হয়েছে। যেখানে ছিল ৭ টি চারের মার ও ৩ টি ছয়ের মার। এর আগের চারটি সেঞ্চুরি তিনি হাঁকিয়েছেন; বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ বার, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ১ বার।
২১ বছরের গুরবাজ বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও এখন নিয়মিত মুখ। ওপেনিং ব্যাটিংয়ে তাঁর সাহসী ভূমিকা চোখ এড়ানোর নয়।