

সাবেক জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক, ফাস্ট বোলার; বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ, হিথ স্ট্রিক না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন- এমন খবরই ছড়িয়ে পড়েছিল। দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়, হিথ স্ট্রিককে বিদায় জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন ক্রিকেটাঙ্গনের অনেকেই।
সেই অনেকের মধ্যে নাম ছিল হিথ স্ট্রিকের সতীর্থ হেনরি ওলঙ্গারও। ইন্সটাগ্রামে হিথ স্ট্রিককে চিরবিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। এই পোস্টের কয়েকঘন্টা বাদে পোস্ট সরিয়ে দেন তিনি। টুইটারে জানান হিথ স্ট্রিকের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে, তিনি বেঁচে আছেন।
I can confirm that rumours of the demise of Heath Streak have been greatly exaggerated. I just heard from him. The third umpire has called him back. He is very much alive folks. pic.twitter.com/LQs6bcjWSB
— Henry Olonga (@henryolonga) August 23, 2023
হিথ স্ট্রিক ৬৫ টেস্ট, ১৮০ ওডিআই খেলেছেন নিজ দেশ জিম্বাবুয়ের হয়ে। অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত। এখনো জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা বোলারের ক্ষেত্রে স্ট্রিকের নাম চলে আসবে। সবমিলিয়ে ৪৪৫ উইকেট আছে তাঁর ঝুলিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানও করেছেন। ৪ হাজার ৯৩৩ রান। পাশাপাশি আছে এক সেঞ্চুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।
স্ট্রিকের বাংলাদেশ অধ্যায় শুরু হয় ২০১৪ সালের মে মাস থেকে। আসেন বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ হিসেবে। দুই বছরের সময়কালে স্ট্রিকের অবদান বাংলাদেশিরা চিত্ত-ভরে স্মরণ করবে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন। তাঁর সময়েই মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ; এই পেসারদের উত্থান ঘটেছে।
এরপর হিথ স্ট্রিক বেশ কিছু কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েন। আইসিসি থেকে স্ট্রিকের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অভিযোগ আনা হয়। যেখানে দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। এমনকি জিম্বাবুয়ের হয়ে দায়িত্ব পালনকালে এবং বাইরের টি-টোয়েন্টিক লিগেহ দায়িত্ব পালনকালেও, দলের তথ্য বাইরে পাচার করার সত্যতা মেলে এই কোচের বিরুদ্ধে। তবে স্ট্রিক ‘ম্যাচ ফিক্স’ করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। আইসিসি থেকে স্ট্রিককে শাস্তি দেওয়া হয়। যেখানে যেকোনো ধরনের ক্রিকেট কর্মকাণ্ড থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত দূরে থাকতে হবে তাঁকে।