

ইংল্যান্ড দলের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড থেকে ছিটকে পড়েছেন নতুন ফাস্ট বোলার জন টার্নার। যার হয়নি এখনো অভিষেক। দলে ডাক পেয়েছিলেন হঠাৎ করেই। তবে সিরিজ শুরুর আগেই কপাল পুড়ল এই তরুণ বোলারের। সাইড ইনজুরির কারণে সরে যেতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর বদলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন আরেক ফাস্ট বোলার ব্রাইডন কার্স। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংলিশদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ আগস্ট থেকে।
কাউন্টি দল হ্যাম্পশায়ারের ২২ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার টার্নার। বেশ জোরের সাথে বল করতে পারেন। সম্প্রতি ইংল্যান্ডে চলমান টুর্নামেন্ট ‘দ্য হান্ড্রেড’; সেখানে এক ম্যাচে ওয়েলশ ফায়ারের বিপক্ষে বল করছিলেন টার্নার। অপরপ্রান্তে ছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো। ৯০ মাইলের উপরে ছোঁড়া তাঁর বল, সেসময় বেশ আলোচিত হয়। পেয়েছিলেন বেয়ারস্টোর উইকেট। টার্নারের শক্তির জায়গা তাঁর গতি। এরপরেই ইংল্যান্ডের দল ঘোষনার সময় টার্নারও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে সুযোগ পান। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগানোর আগেই চোটে পড়তে হলো তাঁকে।
সাউথ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ব্রাইডন কার্স সুযোগ পেয়েছেন টার্নারের বদলি হিসেবে। নির্বাচকদের দ্বারা বেশ দারুনভাবে প্রশংসিত বোলার ব্রাইডন। জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা অবশ্য হয়ে গেছে আরো আগে। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে অভিষেকটা হয়েছে ২০২১ সালে। গত দুই বছর ধরে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ৯ টি ওডিআই ম্যাচ। নিয়েছেন ১২ টি উইকেট।
ইংল্যান্ড আসন্ন বিশ্বকাপ উপলক্ষে নিজেদের দলকে বেশ ভালোভাবেই ঝালিয়ে দেখছে। বিশেষ করে ফাস্ট বা পেস বোলারদের উপর নির্বাচকদের দৃষ্টি বেশ প্রখর। জোফরা আর্চারের চোট, তাঁকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখেনি। গাস আটকিনসন ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে সুযোগ পেয়েছেন। আছেন মার্ক উড। এছাড়াও নতুনদের উপর নজর দেওয়া হচ্ছে, যাতে যেকোন ইনজুরি থেকে কোন সমস্যা তৈরি না হয়।
ইংল্যান্ড দলের প্রধান নির্বাচক লুক রাইট তাঁর দল সম্পর্কে জানান, “এটি এমন কিছু যা নিয়ে আমরা সত্যিই উচ্ছ্বসিত, কাউন্টি ক্রিকেটে এই ছেলেরা যে ধরনের গতি দেখাচ্ছে।“
লুক আরো বলেন, “আমাদের আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকেও তাকাতে হবে, এবং যতটা সম্ভব গভীরতা থেকে চেষ্টা করতে হবে। এবং আমরা জানি এই ফাস্ট বোলারদের, তাঁদের সাথে ইনজুরির বিষয়টিও চলছে।“