

একজন খেলোয়াড় নিজেকে ৩ সংস্করণের ভাবতেই পছন্দ করেন। আলাদা একটা ফরম্যাট একজনের পছন্দ থাকতে পারে কিন্তু নিজেকে এক ফরম্যাটেই বেঁধে ফেলার পক্ষপাতী তেমন কাউকে দেখা যায় না। ব্যতিক্রম নন ওপেনার সাইফ হাসান। আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে নিজেকে সব সংস্করণের উপযুক্ত ভাবেন তিনি, সে কথা জানিয়ে রাখলেন। এছাড়াও কথা বলেছেন আসন্ন এশিয়া কাপ ও শ্রীলঙ্কায় কিছুদিন আগে শেষ হওয়া ইমার্জিং এশিয়া কাপ নিয়ে।
সাইফ ছিলেন ইমার্জিং এশিয়া কাপ দলের অধিনায়ক। এশিয়ান গেমসেও অধিনায়কের দায়িত্ব কাঁধে উঠতে পারে তাঁর। সাইফের সাথে দলে তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব- তাঁরাও ছিলেন। এরমধ্যে থেকে তানজিদ তামিম তো এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পেলেন। ইমার্জিং এশিয়া কাপ খেলার সুবাদে, শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা ও বার্তা আদান-প্রদান কাজে লাগবে বলেই সাইফ মনে করছেন। এছাড়াও লঙ্কান কন্ডিশনে জাতীয় দলের ৩০০+ স্কোর করার মতো ‘ডেপথ’ আছে বলেও মনে করেন তিনি।
“লাস্ট ইমার্জিং দলে যারা খেলেছে, তামিম আছে, সাকিব আছে, ওরাও দলে আছে। যখন আমরা একসঙ্গে অনুশীলন করেছি, কথাবার্তা হয়েছে। কেমন কন্ডিশন ছিল, কীরকম বিহেভ করছিল, সব বার্তা আদান-প্রদান হয়েছে।”
“আমার মনে হয় আমাদের (জাতীয় দলের) সেই ডেপথ আছে (৩০০+ করার)। সবশেষ ইমার্জিং কাপেও আমরা চেষ্টা করেছি। যেহেতু হয়নি। প্রথম ম্যাচে ৩৫০+ টার্গেট ছিল। আমরা অনেকক্ষণ ম্যাচে ছিলাম। সবার মাথায় এটা আছে যে, ৩০০+ যদি রান হয়ও, ওটা যেন আমরা তাড়া করতে পারি।”
৬ টেস্ট ও ২ টি-টোয়েন্টি খেলা সাইফ নিজেকে শুধু টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে ভাবতে চান না। যদিও টেস্টেই তাঁকে বেশি বিচরণ করতে দেখা গেছে। এখনো অভিষেক হয়নি পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে। কীভাবে শুধু ‘টেস্ট’ তকমা পেয়েছেন বা পাচ্ছেন, সে ব্যাপারেও ওয়াকিবহাল নন এই ওপেনার।
“আমি কখনও আমাকে টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে চিন্তা করিনি। আমি সবসময়ই তিন সংস্করণের ক্রিকেটার হিসেবেই চিন্তা করেছি। তো এটা জানি না, কখন কী (টিম থেকে প্রথম টেস্ট, পরে সাদা বল হিসেবে বিবেচনা) হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি দিন দিন উন্নতি করার। যখনই সুযোগ পাই উন্নতির চেষ্টা করি।”