

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের ৪র্থ আসরের শিরোপা জিতল বি-লাভ ক্যান্ডি। প্রথমবারের মতো এলপিএলের চ্যাম্পিয়ন ক্যান্ডি। পুরো আসর জুড়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ক্যান্ডিকে ফাইনালে তোলে অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ছিলেন না ম্যাচে। তবুও শিরোপা নিশ্চিত করেছে তার দল। এক হাসারাঙ্গার হাতে উঠেছে সব বড় পুরস্কার।
বি-লাভ ক্যান্ডি লিগ পর্যায় টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকে শেষ করে। এরপর তারা জিতেছে টানা তিন ম্যাচ এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ার ২, ফাইনাল; আর তাতেই ট্রফি ঘরে তুলে। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (২৭৯ রান) ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর (১৯ উইকেট) পুরস্কার জেতা ক্যান্ডি অধিনায়ক হাসারাঙ্গাই হলেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়।
এটি ছিল ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্যান্ডির দ্বিতীয় খেলা – লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ সংস্করণের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মুকুটের জন্য ১৪৮ রান তাড়া করতে গিয়ে তারা এক বল বাকি রেখেই তা করেছে। ফাইনালে অধিনায়কত্ব পাওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ২১ বলে ২৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে শিরোপা জয়ের বন্দরে নিয়ে যান বি-লাভ ক্যান্ডিকে।
ম্যাথুস ক্রিজে আসেন ৪৪ বলে ৫৪ রান দরকার এবং হাতে আট উইকেট। এরপর চান্দিমাল ও চতুরঙ্গের দ্রুত বিদায়ের ফলে ক্যান্ডি কিছুটা চাপে পড়ে যায়। দারুন খেলতে থাকা আসিফ আলি বিদায় নেন ১৯তম ওভারের শুরুর বলেই। এই ওভারে দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাথুস স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১০ রান।
ফলে জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে দরকার কেবল ৬ রানের। বেশ দায়িত্ব নিয়েই দলকে ট্রফি জয়ের তীরে নিয়ে আসেন ম্যাথুস। ১ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয়। এমন রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ডাম্বুলা অরাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) চ্যাম্পিয়ন হলো বি লাভ ক্যান্ডি।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ডাম্বুলা করতে পারে ১৪৭ রান। এলপিএলের চার আসর মিলিয়ে ফাইনালে আগে ব্যাটিং করে সর্বনিম্ন স্কোর এটিই। এদিন ডাম্বুলার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন ধনঞ্জয়া ডি’সিলভা। ৩ ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৪০ রান করেন। এছাড়া সাদিরা সামারাবিক্রমা করেন ৩৬ রান এবং কুশল পেরেরা অপরাজিত ৩১ রান (২৫ বল) করেন। এবার বদলে গেল আরও এক পরিসংখ্যান, আগের তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন জাফনা কিংস এবার আসতে পারেনি ফাইনালে। প্রথমবার জাফনা ছাড়া কোনো দলের হাতে উঠল এলপিএলের শিরোপা।