

টেস্টের সাদা জার্সিতে একে একে সাকিব আল হাসান কাটিয়ে দিয়েছেন ৪৯টি টেস্ট। অর্জনের পাতা ভারী হয়েছে, দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের পাতা ভারী করেছেন নিয়মিতই। সবার কাছে তিনি এক কথায়, এক বাক্যে সেরা। তবে ব্যক্তি সাকিবেরও রয়েছে নিজেরই প্রিয় কিছু পারফর্ম্যান্স।
মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিব হাতড়েছেন স্মৃতির পাতা। বের করে এনেছেন অজস্র অর্জনের মধ্যে নিজের সেরা কয়েকটি নৈপুণ্য। নির্দিষ্ট কোন পারফর্ম্যান্সকে এগিয়ে রাখতে বড্ড নারাজ সাকিব, তার কাছে প্রত্যেকটি রান, প্রত্যেকটি উইকেটের মূল্যই আলাদা। তবে ৫০তম টেস্টের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে সাকিব বাছাই করেছেন সেরা কয়েকটি নৈপুণ্য।
টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচটি শতকের পাশাপাশি সাকিবের রয়েছে নব্বই ছাড়ানো কয়েকটি স্কোরও। তারই মধ্যে ২০০৯ সালে ক্যারিবীয় সফরে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত সেই ৯৬ রানের ইনিংসকেই এগিয়ে রেখেছেন সাকিব। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় করেছিল সাকিবের ঐ ইনিংসে দাঁড়িয়েই।
‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের ৯২ রানের (আসলে ৯৬*) ইনিংসটির কথা মনে আসছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ বছর গড়া ২১৭ রানও বড় অর্জনের একটি। বোলিংয়ের দিক দিয়েও চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ফিগারটিই সেরা।’ বলেছেন সাকিব।
৩৬ রান দিয়ে ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে কিউইদের বিপক্ষে সাত উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। প্রথম পাঁচ উইকেট বলে বোধহয় একটু বেশী দাগ কেটে আছে সেই ফিগারটা।
ঘরের মাঠে শেষ বছর অক্টোবরে বাংলাদেশ টেস্টে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। মিরপুরের সেই টেস্টে ব্যাট হাতে মোট করেছিলেন ৫১ রান (১০, ৪১) আর বল হাতে পাঁচ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশদের গুঁড়িয়ে দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট, এর মধ্যে এক ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। তবে ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য নয় টিম স্পিরিটই এই টেস্টকে এগিয়ে রাখছে সাকিবের কাছে।
২০১৪ সালে খুলনা টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গড়েছিলেন চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এক টেস্টে শতক এবং দশ উইকেট নেয়ার রেকর্ড। সাকিবের কাছে সেরা হয়ে আছে সেই টেস্টের অর্জনও।