

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন ছোট আর বড় দলের পার্থক্য ক্রমশই কমে আসছে। সব দলের মধ্যেই ভালো করার প্রেরণা আর এত বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের উত্থানে, টি-টোয়েন্টি যেন খুব সহজ এক খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিউজিল্যান্ডের সাথে সব মিলিয়ে ৩ বারের দেখা হয়েছে আরব আমিরাতের। এবারই প্রথম বিশ ওভারের খেলায় কিউইদের হারিয়ে ইতিহাস গড়ল আমিরাত।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয় আরব আমিরাত ও নিউজিল্যান্ড। টস হেরে ব্যাট করতে নামা সফরকারী নিউজিল্যান্ড দল খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনা। দেড়শো রানও পেরোতে পারেনা দলটি। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের সংগ্রহ তোলে। আমিরাত ব্যাট করতে নামলে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয়।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড দল শুরুতেই ধাক্কা খায়। আমিরাত স্পিনার আয়ান আফজাল খানের ঘূর্ণিতে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনা ব্যাটাররা। দলীয় ৬৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। ক্ষণেক্ষণে পতন ঘটেছে উইকেটের। এরমধ্যে ক্রিজে আসেনি কোনো স্থিরতা। দলকে সেসময় স্থির থেকে টেনে তোলেন মার্ক চ্যাপম্যান। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে জেমস নিশামের সঙ্গে চ্যাপম্যান গড়েন ৫৩ রানের জুটি। চ্যাপমান থামেন ৪৬ বলে ৬৩ রান করে।
চ্যাপম্যান ছাড়া বলার মতো রান কেবল জেমস নিশাম ও চ্যাড বাওয়েসের। তাঁরা দুজনেই ব্যক্তিগত ২১ রান করে ফিরেছেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের সংগ্রহ তোলে নিউজিল্যান্ড।
আমিরাতের বোলারদের পক্ষে আয়ান একাই নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ নেন ২ উইকেট।
১৪৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় আমিরাত। আরিয়ানশ শর্মার পতন ঘটে টিম সাউদির বলে। তবে প্রথমের সেই ধাক্কা সামলে ভৃত্য অরভিন্দ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম আগাতে থাকেন। অরভিন্দ ও পরবর্তীতে আসিফ খানের সাথেও জুটি গড়েন ওয়াসিম। ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে চলে যায় স্বাগতিক দল।
দলীয় ৯৬ রানে যখন ওয়াসিম (৫৫ রান) আউট হন, তখন দলের ভিত্তি অনেকটাই শক্ত। ওয়াসিম ফিরলে হাসিল হামিদকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন আসিফ। এই জুটিতে দল পায় আরো ৪৮ টি রান। আসিফ ২৯ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর এভাবেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে আরব আমিরাত। সিরিজ ফেরে ১-১ সমতায়।