

বিশ্বকাপের আর বাকি ৪৫ দিন। দামামা বাজতে শুরু করছে সবখানে। ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের মাসকট উন্মোচন করেছে আইসিসি। আজ (১৯ আগস্ট) ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামে একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এবারের বিশ্বকাপের মাসকট উন্মোচিত হয়। সেই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দুই ভারতীয় অধিনায়ক যশ ধুল ও শেফালি ভার্মা।
গুরুগ্রামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় আইসিসি থেকে। যার মধ্যে দিয়ে ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের মাসকট সামনে আসে। পুরুষ ও নারী উভয় চরিত্রের দুইটি মাসকট এবারের বিশ্বকাপে দেখা যাবে। আইসিসি থেকে এই মাসকট দুইটিকে ‘ক্রিকেটোভার্স’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। তবে এখনো মাসকট দু’টির নাম ঠিক হয়নি। সে দায়িত্ব থাকবে সাধারণ দর্শকদের হাতে। দর্শকেরা নিয়ম অনুযায়ী নিজেদের পছন্দের নাম আইসিসিতে পাঠাতে পারবে। ২৭ আগস্টের মধ্যে নাম পাঠানোর কাজটি সারতে হবে। সেখান থেকে নির্ধারিত হবে এই দুই মাসকটের নাম।
পুরুষ ও নারী উভয় চরিত্রের মাসকট দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে লিঙ্গ সমতা। নারী ক্রিকেটের উন্নতিতে আইসিসির বিশেষ নজর চোখে পড়েছে কিছুদিন আগেও। আইসিসির ইভেন্টগুলোতে প্রাইজমানিতে নারী-পুরুষ সমান অর্থ পুরষ্কার ঘোষণা হয়েছে। লিঙ্গ সমতার সাথে আরেকটি বিষয় রয়েছে, ডাইভারসিটি বা বৈচিত্রতা।
এই নতুন মাসকট নিয়ে আইসিসি ইভেন্টের প্রধান ক্রিস টেটলি বলেন, “আমরা এই মাসকট প্রকাশ করতে পেরে আনন্দিত। এই মাসকট প্রকাশ করার অর্থ হচ্ছে, ক্রিকেটকে বিভিন্ন সীমানার ঊর্ধ্বে নিয়ে যাওয়া। আমরা সব লিঙ্গের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি, সবাইকে সমান মর্যাদা দিই।“
টেটলি আরো বলেছেন, “পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেট অনুরাগীদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য আইসিসি এবং ক্রিকেটের অগ্রাধিকারের সাথে মিল রেখে, এই মাসকটগুলো আইসিসি ইভেন্টের বাইরেও খেলাধুলার প্রতি আজীবন ভালবাসা জাগিয়ে, শিশুদের জড়িত এবং বিনোদন দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।“
ম্যাচ চলাকালীন সময়ে এই মাসকট দু’টি সকলের সাথে কুশল বিনিময় করবে, ছবি তুলবে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতেও তাঁদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ থাকবে দর্শকদের। বর্ণিল রঙ ও পোশাকে তৈরি এই মাসকট দুটি আইসিসির বিশ্বকাপ ইভেন্টে নতুন সময়ের সাথে বেশ ভালোভাবে খাপ খাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।