

দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ পুরুষ বিভাগে ২০২৩ এর জুলাই মাসের পুরস্কার জিতলেন ক্রিস ওকস। আর নারী বিভাগ থেকে সেরা হলেন অ্যাশলে গার্ডনার। স্মরণীয় অ্যাশেজ পারফরম্যান্সের কল্যাণেই ওকসের হাতে আইসিসির অ্যাওয়ার্ড।
জুলাইয়ে আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থ হবার দৌড়ে ক্রিস ওকসের সঙ্গে মনোনয়নের শর্ট লিস্টে ছিলেন স্বদেশি ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও নেদারল্যান্ডসের বাস ডি লিড। এই দু’জনকে পেছনে ফেলে মাসসেরার মুকুট পরেছেন ক্রিস ওকস।
আইসিসির এমন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জিতে ক্রিস ওকস বলেন,
‘জুলাই মাসে আইসিসি মেনস প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ নির্বাচিত হওয়াটা খুব ভালো লাগছে। অ্যাশেজে আমরা যা কিছু করেছি তা ছিল একটি দলীয় প্রচেষ্টা, এবং প্রত্যেকে তাদের কাজ না করে কোনো স্বতন্ত্র পুরষ্কার সম্ভব হবে না তবে স্বীকৃতি পাওয়া সবসময়ই ভালো, বিশেষ করে যখন এটি একটি পাবলিক ভোট হয়।’
‘এটি একটি দুর্দান্ত সিরিজ ছিল, এবং আমি খুব খুশি যে এটি দর্শকের কল্পনা এবং মনোযোগ আকর্ষণ করেছে৷ এত সমর্থন পাওয়াটা দারুণ ছিল এবং খুবই উপভোগ্য একটা সিরিজ ছিল।’
অ্যাশেজের প্রথম দুই ম্যাচে ক্রিস ওকস একাদশে ছিলেন না। সিরিজের প্রথম দুটি টেস্টে না খেলা সত্ত্বেও ক্রিস ওকস সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। তিনি তিন ম্যাচ খেলে ১৯টি উইকেট নিয়েছিলেন।
জয়ে ফিরতে খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত কিছু পারফর্ম্যান্সের প্রয়োজন ছিল এবং ওকস সেটাই করেছিলেন। এক বছরেরও বেশি সময় পর টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের সময়, ওকস প্রতিটি ইনিংসে তিনটি করে উইকেট নেন। ব্যাট হাতেও দেখান ক্যারিশমা। হেডিংলিতে ৩২ রানের হার-না-মানা ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে ম্যাচ জিতিয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখেন।
অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার গার্ডনার প্রথম খেলোয়াড় – পুরুষ বা নারী; যে পরপর দুই মাসে আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন৷ এলিসা পেরি এবং ন্যাট সাইভার-ব্রান্টকে পরাজিত করে চতুর্থবারের মতো গার্ডনার কাঙ্ক্ষিত মাস সেরার পুরস্কার জিতেছেন।