লজ্জার রেকর্ড গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হারল ভারত

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারত
Vinkmag ad

রোভম্যান পাওয়েলের নেতৃত্বে উইন্ডিজ দল পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭ বছর পর ভারতকে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতকে পরাস্ত করল। এছাড়া ২৫ মাস পর এই প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার দেখল ভারত। সিরিজের প্রথম দুটি জিতে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের দুটি ম্যাচ জিতে কামব্যাক করে ভারত। সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচটি ৮ উইকেটে হেরে সিরিজ খুইয়েছে টিম ইন্ডিয়া।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লডারহিলে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৫ রান তুলেছিল ভারত। ১৮ ওভারে ২টি উইকেট খুইয়ে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বল হাতে আগুন ঝরিয়ে ৪ উইকেট শিকার করা রোমারিও শেফার্ড পেলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। পুরো সিরিজ জুড়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে মোট ১৭৬ রান করা নিকোলাস পুরানের হাতে সিরিজ সেরার পুরস্কার।

সুরিয়াকুমার যাদব ৪৫ বলে চার বাউন্ডারি এবং তিন ছক্কায় ৬১ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন। তিলক ভার্মা ১৮ বলে ২৭ রান করেন। তিনি তিন বাউন্ডারি এবং জোড়া ছক্কা হাঁকান। এই দুই ব্যাটার ছাড়া আর কোনো ভারতীয় ক্রিকেটার ১৫ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি।

এর আগে শুরুর তিন ওভারের মধ্যেই নেই ভারতের দুই ওপেনার ইয়াশভি জাইসাওয়াল ও শুবমান গিল। আকিল হোসেন নিজের প্রথম ওভারেই বিদায় করেন ৫ রানে থাকা জাইসাওয়ালকে। পরের ওভারে ফের আকিলের আঘাত, এবার উইকেট হারান ৯ রান করা গিল। তৃতীয় উইকেটে সুরিয়া ও তিলক মিলে ৪৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। অস্টম ওভারে তিলক আউট হলে ভাঙে জুটি।

৯ বলে ১৩ রান করা সাঞ্জু স্যামসন হয়েছেন রোমারিও শেফার্ডের শিকার। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ। শেফার্ডের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরার আগে করেন কেবল ১৪ রান। ১৭.৫ ওভারে দলের সংগ্রহ ১৪০ এ পৌঁছে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সর্বোচ্চ ৬১ রান করা সুরিয়া। এরপর কোনোরকম ব্যাট চালিয়ে ভারত স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৬৫ রান। শেষে আরও দুটি উইকেট শিকার করে শেফার্ডের ঝুলিতে ৪ উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারান কাইল মেয়ার্স। আর্শদ্বীপের বলে ক্যাচ তুলে ফেরার আগে মেয়ার্স ৫ বলে করেন ১০ রান। তিনে নামা নিকোলাস পুরান আরেক ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে নিয়ে গড়েন ১০৭ রানের ম্যাচজয়ী জুটি। এই জুটির তাণ্ডবেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ভারত।

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি ছোঁয়ার পথেই ছিলেন পুরান। কিন্তু মাত্র ৩ রান দূরে থেকে তিনি হারিয়ে বসেন উইকেট। শতরানের জুটি ভাঙতে তিলকের হাতে বল তুলে দেন হার্দিক। তিলকের দ্বিতীয় বলে রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টা করেন পুরান। বল ব্যাটে না এসে টপ এজ লেগে স্লিপে ফিল্ডারের হাতে চলে যায়। আম্পায়ার প্রথমে নিকোলাস পুরানকে আউট দেননি। রিভিউ নেয় ভারতীয় দল। সিদ্ধান্ত ভারতের পক্ষে যায়। ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন মুখ তিলক ভার্মা ব্যাট হাতে দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকানোর পর প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট পেলেন দ্বিতীয় বলে।

এরপর কিং এবং শাই হোপের মধ্যে আরও ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। কিং ৫৫ বলে ৫ বাউন্ডারি এবং ৬ ছক্কা হাঁকিয়ে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে হোপ ১৩ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন। আর তাতেই দুই ওভার বাকি থাকতে ৮ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

ভারত টি-টোয়েন্টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না: আকাশ চোপড়া

Read Next

টিকনারের পরিবর্তে দুবাইয়ে জ্যাকব ডুফি

Total
0
Share