

এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা হয়েছে। দলে ‘স্পেশালিষ্ট’ স্পিনার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন নাসুম আহমেদ। এছাড়াও সাকিব আল হাসান আছেন, মেহেদী হাসান মিরাজ আছেন। শেখ মেহেদী আছেন, যিনি সুযোগ পেলে স্পিন করতে পারবেন। স্পিনারদের হিসাব এতটুকুই। তবে জনমনে কিছুটা প্রশ্ন ছিল, নাসুম ও তাইজুল ইসলামকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সুযোগটা নাসুমের কপালেই জুটেছে। এর পিছনে কিছু কারণও রয়েছে অবশ্যই
গতকাল (শুক্রবার) বোর্ড সভাপতি যখন নিজ বাস ভবনে নতুন অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম ঘোষণা করলেন, তখন এশিয়া কাপের দল নির্বাচন নিয়েও কথা বলেছেন। সেখানে ‘স্পিনার’ হিসেবে নাসুমের সম্ভাবনা দেখেছিলেন তিনি।
‘স্পিনার সাকিব আছে, মিরাজ আছে। সাথে অবশ্যই একজন অতিরিক্ত স্পিনার যাবে। এখানে তাইজুল (ইসলাম) আছে, নাসুম (আহমেদ) আছে। শর্টার ভার্সনে আমার ধারণা নাসুমের সম্ভাবনা বেশি।’
সেটাই হয়েছে। সুযোগ পেয়েছেন নাসুম৷ এই স্পিনার সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন আয়ারল্যান্ড সিরিজে। তাইজুল ইসলাম সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন কিছুদিন আগে শেষ হওয়া আফগানিস্তান সিরিজে। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে কী কারণে তাইজুলের চেয়ে নাসুম এগিয়ে থাকলেন, তার এক ব্যাখ্যা প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু থেকে পাওয়া যায়।
‘তাইজুলের ব্যাপারটা আসছে, তাইজুল অনেকটা এটাকিং স্পিনার, নাসুম কিছুটা ডিফেন্সিভ। আমরা চিন্তা করেছি, টিম ম্যানেজমেন্টও আমাদের যে প্ল্যান দিয়েছে, নাসুমের দিকে আমরা গিয়েছি। কারণ শ্রীলঙ্কাতে এশিয়া কাপে ফ্ল্যাট উইকেটেও খেলতে পারে। আমাদের লাহোরেও খেলা আছে, ওখানেও ফ্ল্যাট উইকেটে খেলা হতে পারে। ডিফেন্সটা ভেরি ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট, সে চিন্তা করেই কিন্তু নাসুমকে আমরা যুক্ত করেছি।’
দলের যে পরিকল্পনা, সেখানে নাসুমকে বেশি উপযুক্ত মনে করেছে নির্বাচক প্যানেল। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের ফ্ল্যাট উইকেটে নাসুমের বল বেশি কার্যকর হবে বলে ভেবেছেন তাঁরা। এশিয়া কাপের ম্যাচে সুযোগ পেয়ে নাসুম যদি দলের আস্থার প্রতিদান দিতে পারে, সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও তাঁর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত বলা যায়।