

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এশিয়া কাপের জন্য ডাক না পেলেও টিকে গেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্সে ভর দিয়ে ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়ে গেলেন শামীম হোসেন। ইমার্জিং এশিয়া কাপে মুগ্ধতা ছড়িয়ে জাতীয় দলের দরজা খুলল শেখ মেহেদীর। আফিফ, শামীম, মেহেদীদের সুযোগ পাওয়া নিয়ে একে একে ব্যাখ্যায় গেলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
এখন পর্যন্ত ১৭ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলা বাঁহাতি ব্যাটার শামীম হোসেন পাটোয়ারীর অভিষেক হয়নি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে। তাকে নিয়েই এশিয়া কাপ মিশনে যাবে বাংলাদেশ। ঠিক কি কারণে শামীম দলে?
শামীম হোসেন পাটোয়ারি এশিয়া কাপের মঞ্চে ডাক পাওয়া নিয়ে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা,
‘শামীম আমাদের এইচপিতে ছিল অনূর্ধ্ব ১৯ থেকে আসার পর। আমাদের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের ক্রিকেটার। মাঝখানে ২১ সালের বিশ্বকাপের পর পারফরম্যান্স একটু বাজে ছিল। তারপর সেটা কাটিয়ে উঠেছে। যতগুলো সিরিজ গেছে, শেষ টি-টোয়েন্টিতেও যথেষ্ট ভালো খেলেছে। সেই হিসেবে আমরা মনে করেছি ওর অবশ্যই সামর্থ্য আছে ভালো ক্রিকেট খেলার। ওই আত্মবিশ্বাসেই আমরা ওকে নিয়ে এগোচ্ছি।’
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিলেটে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৫ বলে খেলা শামীমের ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংসই তাকে টেনে নিয়ে আসলেন এশিয়া কাপের দলে। নিশ্চিত হারতে বসা ম্যাচে সেদিন তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান শামীম।
লম্বা সময় পর দলে ফিরলেন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। শেষ ওয়ানডে খেলেছিলে ২০২১ এর মার্চে, নিউজিল্যান্ডের মাঠে। এই সিরিজের তিন ম্যাচই মেহেদীর ওয়ানডে ক্যারিয়ার। খুব কম অভিজ্ঞতা নিয়েও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের জেরে মেহেদীর ডাক মিলল এশিয়া কাপে।
‘শেখ মেহেদী মাঝখানে বিপিএলে ইনজুরিতে পড়েছিল। অনেকদিন ভুগেছে। তারপরেও যেহেতু আমাদের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ছিল। ইমার্জিং কাপেও যথেষ্ট ভালো করেছে। আশা করছি নিজেকে মেলে ধরতে পারবে এশিয়া কাপে সুযোগ পেলে।’
শেখ মেহেদীর অবশ্য সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখেই তাকে নির্বাচিত করেছে নির্বাচকরা। ইমার্জিং এশিয়া কাপে দেখালেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ব্যাট হাতে করেন ৭৯ রান, ঝুলিতে নেন ৪ উইকেট। আর তাতেই মেহেদীর জায়গা হয়ে যায় এশিয়া কাপের মঞ্চে।