

বরাবরের মতো এবার মেগা ইভেন্টের আগে সৌম্য’র ডাক আসেনি, এশিয়া কাপে তার ব্যাটিং শো দেখে চোখের আরাম পাবে না দর্শকরা। সৌম্য’র সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচকদের। তবে তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণে নির্বাচক প্যানেলের কোনো আলোচনাতেই ছিল না সৌম্য সরকারের নাম। সৌম্য’র থেকে কম ইন্টারন্যাশন্যাল অভিজ্ঞতা নিয়েও সুযোগ পেয়ে যান নাইম শেখ।
সবশেষ ২০২২ এশিয়া কাপে সৌম্য স্ট্যান্ডবাই হিসেবে দলের সাথে যান সংযুক্ত আরব-আমিরাতে। অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমে ডাক পাননি। ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে সৌম্য যান বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে। পারফরম্যান্সে দাপট দেখিয়ে জায়গা করে নেন মূল স্কোয়াডে। ব্যাট হাতে মলিন পারফরম্যান্সে বাদ পড়েন পরের সিরিজেই। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ব্যাট হাতে বাজে সময় ছিল তার সঙ্গী।
ইমার্জিং এশিয়া কাপ দলের সাথে শ্রীলঙ্কায় গিয়েও সৌম্য হতে পারেননি ধারাবাহিক। সৌম্য’র ফেরার মঞ্চ হিসেবে ধরা হয়েছিল উদীয়মান ক্রিকেটারদের এই এশিয়া কাপ। সেখানে ৩ ইনিংসে ব্যাট করা সৌম্য ফিফটির দেখা পাননি একটাতেও। মোটে করেন ৯৫ রান। তবে বল হাতে শিকার করেছিলেন ৬ উইকেট। ব্যাট হাতে নির্বাচকদের মুগ্ধ না করতে পারায় এবার আর মেগা ইভেন্টে সৌম্যকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশের।
সৌম্য সরকারকে স্কোয়াডে না রাখার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু তো বলেই ফেললেন, ‘তাকে নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো আলোচনায় হয়নি।‘
‘সৌম্য সরকারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো অভিজ্ঞতা আছে এজন্য আমরা তাকে ইমার্জিং এশিয়া কাপে দেখছিলাম। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স যথেস্ট খারাপ গিয়েছিল। এজন্য সে কামব্যাক করতে পারে কি না। এশিয়া কাপের ব্যাপারে আমরা তাকে নিয়ে কোনো আলোচনায় করিনি।’
তবে সৌম্য জায়গা করে নিতে না পারলেও সুযোগ পেয়ে গেছেন নাইম শেখ। তাকে কি বিবেচনায় রাখা হয়েছে দলে? প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা,
‘নাইম শেখ ঘরোয়াতে যথেস্ট ভালো করেছে। ইমার্জিং কাপে খুব একটা ভালো করতে পারেনি, তবে ধারাবাহিক ছিল। তারপরেও যেহেতু ইন্টারন্যাশন্যাল অভিজ্ঞতা আছে, সে হিসেবে আমরা চিন্তাভাবনা করেছি তাকে আরেকটা সুযোগ দেওয়া যায়।’