

আগস্টের ৩০ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড সিরিজ। টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু। নিউজিল্যান্ড ইতিমধ্যে তাঁদের দল ঘোষণা করেছে। ইংল্যান্ড এখনো নিজেদের দল ঘোষণা করেনি। আশা করা যাচ্ছে, তা সামনের সপ্তাহে করবে। ইংল্যান্ড দলে সুযোগ পেতে পারেন, কাউন্টি দল সারে’র হয়ে খেলা ফাস্ট বোলার গাস আটকিনসন।
আটকিনসনের শক্তির জায়গা বলা হচ্ছে, ঘণ্টায় ১৪৫ কি.মি এর উপরে বল ছাড়তে পারেন তিনি। গতকাল (বুধবার) রাতে দ্য হান্ড্রেডের ম্যাচে জস বাটলারকে ১৫০ কি.মি এর উপরে দুইটি বল ছাড়েন। এর আগে আটকিনসনের বলের মুখোমুখি হননি ইংল্যান্ডের সাদা বলের অধিনায়ক বাটলার। গতরাতে ১৯ বল করে, ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন আটকিনসন। ম্যাচ শেষে পাকিস্তানি বোলিং কোচ আজহার মাহমুদের সাথে লম্বা কথোপকথনে দেখা যায় বাটলারকে। গত দুই বছর ধরে সারে’র হয়ে আজহার কাজ করছেন আটকিনসনের সঙ্গে।
টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে গাস আটকিনসন দারুণ পারফর্ম করেন। তাঁর দল সারে’র হয়ে ২৯.১৫ গড়ে সংগ্রহ করেন ১৩ উইকেট। সারে সেই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল খেলে। সারে’র এই বোলার ইংল্যান্ড জাতীয় দলে ভিড়তে পারেন, এমনটিই শোনা যাচ্ছে। ইংলিশদের গুরুত্বপূর্ণ ফাস্ট বোলার জোফরা আর্চার আছেন ইনজুরিতে। আর্চারের পেস মিস করতে চাইবেনা দলটি। সেক্ষেত্রে আর্চার না হলেও, আটকিনসনকে দলে ভেড়ানোর সুযোগ হয়তো তাঁরা নিতে পারে। আর্চারের বোলিং ডেলিভারির সাথে আটকিনসনের কিছু মিলও দেখা যায়। দুজনেই বল ছাড়ার সময় কব্জি ব্যবহার করে কিছুটা চাপ দিয়ে বল ছাড়েন।
সেক্ষেত্রে গাস আটকিনসন যদি নিউজিল্যান্ড সিরিজের সুযোগ পান এবং সেখানে নিজেকে প্রমাণ করেন, তবে তাঁর সুযোগ মিলতে পারে বিশ্বকাপ দলেও। যদিও বেশ তাড়াতাড়ি এটা বলা হয়ে যায়। তবুও, সম্ভাবনা একরকম থাকেই। বিশ্বকাপ দলে ৩ জন রিজার্ভ খেলোয়াড় নেওয়ারও সুযোগ আছে, ভুলে গেলে চলবে না।
তবে আটকিনসনের সুযোগ যদি নিউজিল্যান্ড সিরিজে নাও মিলে, আগামী ডিসেম্বরে ক্যারিবিয়ানদের সাথে সিরিজ আছে ইংল্যান্ডের। সেখানে প্রথম সারির সকল পেসারদের বিশ্রাম দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেসময় গাস আটকিনসন সুস্থ থাকলে, জাতীয় দলে নিশ্চিত সুযোগ মিলতেই পারে ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের।