

তামিম ইকবাল সরে গেছেন অধিনায়কের চেয়ার থেকে। সামনে এশিয়া কাপ, এরপর আছে বিশ্বকাপ। সময় যে খুব বেশি হাতে আছে, তাও নয়। এখনো বিসিবি নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেনি। বিসিবি কি এসব নিয়ে একটু বিপদে কি না সে প্রশ্নও আসছে। ১২ তারিখের মধ্যে এশিয়া কাপের জন্য অধিনায়ক ঘোষণা হবে, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। আজ (৮ আগস্ট) বিসিবি পরিচালকদের এক জরুরী সভা শেষে অধিনায়ক ইস্যুতেই বেশি কথা উঠল জালাল ইউনুসকে ঘিরে।
তামিম ইকবাল যে অধিনায়কত্ব থেকে সরে গেছেন, সে ঘটনায় বেশ ‘অবাক’ হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি সবসময় ভাবতেন বা বলতেন, তামিম বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করবে। তামিম যখন সরে গেলেন, এরপর বিসিবি’র অবাক হওয়ার পালা শেষে এখন নতুন অধিনায়ক নিয়োগের সময় এসেছে।
বিসিবি থেকে শোনা যাচ্ছে, প্রথমত এশিয়া কাপের জন্য অধিনায়ক ঘোষণা করা হবে। এরপর বিশ্বকাপের অধিনায়কের নাম ঘোষিত হবে। এমন সিদ্ধান্ত কি বিসিবিকে ‘বিপদ’ এ রাখছে কি না? সেই উত্তরও দিতে হয়েছে জালাল ইউনুসকে।
‘আমি বলেছি যেহেতু লেট আস ডিসাইড… ডেফিনিটলি আমরা এশিয়া কাপের জন্য যেই দল দিবো, এশিয়া কাপের জন্য যে ক্যাপ্টেন ডিসাইড করব, যে ক্যাপ্টেনটার সঙ্গে কথা বলব আরও দুইটা ফরম্যাট আছে। তো এইগুলো নিয়ে তার সঙ্গে আলাপ করতে হবে না? অ্যাটলিস্ট…এইগুলো তো ব্যাক টু ব্যাক। ….তিনটা খেলার জন্যই তো আমাদের ডিসাইড করতে হবে। তিনটা টুর্নামেন্টের জন্য। দ্যাট ইজ দ্য রিজন ভেবে চিন্তে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের জানানো হবে।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে দায়িত্ব দিয়েছে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ, অধিনায়ক কে হচ্ছেন এই বিষয়ে। পাপন ক্যান্ডিডেটদের সাথে আলোচনা করে, হয়তো কোনো একটা সিদ্ধান্ত দিবেন এই ব্যাপারে, যা খুব শীঘ্রই। বিসিবির ভাবনায় সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ– এই ৩ জন আছেন বলে জানা যায়।
‘আপনারা জানেন সাকিব আছে। লিটন আছে। আরেকজন আমাদের প্রমিজিং মিরাজ আছে। সেও একজন আমাদের অনেকের মধ্যে নামগুলো উঠে এসেছে। এবং এদের নামগুলো আপনারাও সবাই জানেন। এদের মধ্য থেকে এদের সঙ্গে মূলত আলাপ আলোচনা করা হবে।’
জালাল ইউনুসকে প্রশ্ন করা হয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাপারেও। রিয়াদ আছেন এশিয়া কাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে। মূল স্কোয়াডে সুযোগ মিলবে কি না, তা জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে।
‘এটা সিলেক্টরদের ইস্যু। টিম ম্যানেজমেন্টের ইস্যু এটা তাদের কাছে থাকুক। সিলেকশনের পার্ট, আমাদের না। তারাই সাজেস্ট করেন, কোচের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরে তারা নামগুলো ঠিক করেন। কে থাকবেন নাকি থাকবেন না ফাইনাল ডিসিশন সিলেক্টররাই নেবে। তারাই ফাইনাল তালিকা দেবে।’