

এর আগে খেলা হয়েছিল ২০১১ বিশ্বকাপ। মাঝখানের দুই বিশ্বকাপে সুযোগ হয়নি নেদারল্যান্ডস দলের। এবার ২০২৩ বিশ্বকাপে আবার এসেছে সুযোগ। দলও আছে ভালো ছন্দে। নিজেদের প্রস্তুতি সারতে সেপ্টেম্বর মাসে ১২ দিনের ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশ নিবে দলটি। ভারতের বেঙ্গালোরের কাছেই এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
স্কট এডওয়ার্ডসের নেতৃত্বে ডাচ দল পার করে এসেছে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের মতো টেস্ট দলকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের সুযোগ মেলেনি বিশ্বকাপে। সুযোগ মিলেছে নেদারল্যান্ডসের। সেই সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করতে যা যা প্রয়োজন, তার সবই করতে প্রস্তুত দলটি।
কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট মিলে একমত হয়েছে যে, কর্ণাটকের ‘আলুর’ নামক স্থানে নেদারল্যান্ডস দল তাঁদের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ক্যাম্প সারবে। আলুর থেকে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে সেপ্টেম্বরের ১৯ থেকে অক্টোবরের ১ তারিখ পর্যন্ত। অবশ্য এমনও পরিকল্পনা আছে যে, ক্যাম্পের মেয়াদ আরো বৃদ্ধি করা যায় কি না। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের শুরুতে আনার চিন্তাভাবনা করা হবে। যদিও সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলবে ডাচ দল। এর আগে ১৯৯৬, ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ সালে খেলেছিল দলটি। নেদারল্যান্ডস তাঁদের এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে ভারতের হায়দ্রাবাদে। অক্টোবরের ৫ তারিখ, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। তাঁদের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে স্বাগতিক দল ভারতের বিপক্ষে, নভেম্বরের ১১ তারিখ বেঙ্গালোরের মাঠে। শুরু ও শেষ হিসেবে প্রতিপক্ষ কিছুটা কঠিনই তাঁদের জন্য। ১০ দলের বিশ্বকাপে যদিও সহজ প্রতিপক্ষ বলেও তেমন কিছু নেই।
বিশ্বকাপের সূচি নিয়ে অবশ্য এখনো জটিলতা আছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এগিয়ে এসেছে ১৪ অক্টোবর। অন্যদিকে ১২ নভেম্বরের ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচের তারিখও পরিবর্তনের অনুরোধ করা হয়েছে। এমন হলে, মূল সূচিতেও আরো পরিবর্তন আসবে। তাই সঠিক তারিখ এখনই বলা যাচ্ছে না।
তবে ডাচদের বিশ্বকাপ যাত্রার অপেক্ষায় আছে নেদারল্যান্ডসের জনগণ ও ক্রিকেট-প্রেমী মানুষেরা। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে হওয়ায়, প্রত্যেক দল প্রত্যেকের সাথে খেলার সুযোগ পাবে। সেক্ষেত্রে বড় দলের সাথে ডাচদের পারফর্ম্যান্স কেমন থাকে, সেটি নিয়েও আগ্রহ থাকবে দর্শকদের। এখন শুধুই অপেক্ষা।