

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের বর্তমান দুর্দশা তাঁদের বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং ম্যাচে বেশ স্পষ্ট টের পাওয়া যায়। ফলে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার যোগ্যতাও হারায় দলটি। সম্প্রতি উইন্ডিজদের ক্রিকেট অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিজ্ঞ ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ছিল। সেই দলে ছিলেন অশ্বিন। সেসময় উইন্ডিজে অনুশীলন, নেট প্র্যাক্টিস, পিচ প্রস্তুতকরণ- ইত্যাদি অবলোকন করেছেন তিনি। কোনোভাবেই আশাবাদী হতে পারেননি। তৃতীয় ওয়ানডে শেষে হার্দিক পান্ডিয়াও উইন্ডিজদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
“আমি মনে করি, যদি একটা দেশ ক্রিকেটে উন্নতি করতে চায়, প্রাথমিক উন্নতি শুরু করতে হবে অবকাঠামো থেকে। এমনকি অনূর্ধ্ব ১০, ১২ এবং ১৪ এর ছেলেদেরও একটা ভালো নেট ও মাঠ থাকতে হবে। এটা তো মেধা দিয়ে পরিচালিত খেলা। যদি একটা বাচ্চা পরিশ্রম করে, তিনি বা সে অবশ্যই ভালো করবে। অবকাঠামো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।” – অশ্বিন মন্তব্য করেন।
বার্বাডোজ টেস্ট সেন্টারে খেলার কথা ফিরিয়ে আনেন অশ্বিন। খেলার আগে নেট প্র্যাক্টিসের ব্যাপারে সমালোচনা করেন।
“আমরা বার্বাডোজ টেস্ট সেন্টারে খেলেছি। আমরা যখন নেটে প্র্যাক্টিস করছিলাম, সেখানে সার্ফেসে কোনো ঘাসই ছিল না। আমি এসব তাঁদের দোষারোপ করতে বলছিনা। আমি আসলে তাঁদের জন্য খারাপ বোধ করছি।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচ অনেক বেশি স্লো। সেখানে উইন্ডিজরা খেলতে থাকলে, ভারত বা অন্য কোথাও এসে ‘কুইক’ পিচে খেলা তাঁদের জন্য জটিল হয়ে যাবে। তাঁরা শুধু পিচ থেকে ঘাসটুকু কেটে নেয় আর এর উপর রোলিং করে দেয়। এটাই তাঁদের পিচ রক্ষণাবেক্ষণ। এসব নিয়েও কথা বলেন ভারতের এই স্পিনার।
ক্যারিবীয়দের ক্রিকেট অবকাঠামো নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা দরকার, তা আসলে বলাই বাহুল্য। তাদের অনেকরকম ‘উদাসীনতা’ ক্রিকেটে বেশ দেখা যায়। ২০২৩ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই না করতে পারা হয়তো এসবেরই ফলাফল। অথচ বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম দুই বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল এই ক্যারিবীয়রাই। তাঁদের আছে বর্ণাঢ্য ইতিহাস। যে-ই ইতিহাস এখন শুধু গল্প হয়ে আছে।