

ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের জন্য ম্যাচটা সহজ করেই এগোচ্ছিল। ৩৬ বলে দরকার ২৭ রানে, হাতে ছিল ৫ উইকেট। সেখান থেকে সমীকরণ দাঁড়ায় ২৪ বলে ২৪ রান, কিন্তু হাতে আছে ২ উইকেট। তবে আকিল হোসেন ও জেসন হোল্ডার মিলে ঘরের মাঠে ভারতের সাথে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। ফলে ২ উইকেটের জয়ে ২-০ তে এগিয়ে থাকল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৫৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামা উইন্ডিজ দলের শুরুটা তেমন ভাল হয়নি। প্রথম ওভারেই যে হারাতে হয় তাঁদের ২ উইকেট। এবং প্রথম বলেই; ব্রান্ডন কিং ফেরেন, তার ৩ বল বাদেই জনসন চার্লসও ফিরলেন। বোলার আর কেউ নন, অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।
তবে মাঠে আক্রমণে নামলেন এবার দুই ব্যাটার; কাইল মেয়ার্স ও নিকোলাস পুরান। মেয়ার্স যদিও ফিরেছিলেন, তবে একপ্রান্তে ছিলেন পুরান। সেখান থেকে অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে পুরানের জুটিতে স্বস্তি আসে উইন্ডিজ শিবিরে। ৩৭ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন দু’জন মিলে। ১৯ বলে ২১ রানে অধিনায়ক ফেরেন অধিনায়কের বলে।
শিমরন হেটমায়ারকে সাথে নিয়ে ২৫ বলে ৩৭ রানের আরেক জুটি গড়েন পুরান। পুরান যখন মুকেশ কুমারের শিকার হয়ে ফিরলেন, তখন উইন্ডিজের দলীয় রান ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৬। ৬ ওভারে মাত্র ২৭ রানের প্রয়োজন। হাতে তখনো ৫ উইকেট। কিন্তু পরের ২ ওভারে ৩ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। সেই ৩ উইকেটে ১ টি রান আউট, বাকি ২ শিকার স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের।
৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। ২৪ বলে প্রয়োজন ২৪ রান। তবে আকিল হোসেন আর আলজারি জোসেফ; দুজন আর বিপদ বাড়তে দেননি। ম্যাচ শেষ করে, জয় নিয়ে ফিরেছেন।
এর আগে প্রভিডেন্সের মাঠে টসে জয় লাভ করা ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাট করতে নামে। তবে ১৫০ তোলা তাঁদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। ১৮ ওভারেই ২ উইকেট হারায় দলটি। সেসময় ব্যাটিংয়ে আসেন তিলক ভার্মা। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে ফিফটি হাঁকিয়ে বসেন এই ব্যাটার। ৪১ বলে ৫১ রানে নিজের কাজটা ঠিকভাবেই করে দেন এই ২০ বছর বয়সী ভারতীয়।
গুবমান গিল ছিলেন এদিনও ব্যর্থ। ইশান কিষান ২৩ বলে ২৭ করে ফেরেন। পরবর্তীতে পান্ডিয়ার ২৪, অক্ষর প্যাটেলের ১৪ ও পরের দিকের ব্যাটারদের কোনরকম চেষ্টা ভারতকে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানে পৌঁছে দেয়।
উইন্ডিজদের পক্ষে, আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ, রোমারিও শেফার্ড; প্রত্যেকে ২ টি করে উইকেট নেন। ভারতীয়দের পক্ষে, হার্দিক পান্ডিয়া ৩ উইকেট লাভ করেন। যুজবেন্দ্র চাহাল নেন ২ উইকেট। অর্শ্বদ্বীপ সিং ও মুকেশ কুমার নেন ১ টি করে উইকেট।
এই জয়ে ২০১৬ সালের পর বিশ ওভারের খেলায় টানা ২ ম্যাচে ভারতকে পরাজিত করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল।