

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রশিদ লতিফ বাবর আজমের অধিনায়কত্বের ভেতরে বাইরের প্রভাব সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। এর আগেও লতিফ বাবরের পক্ষে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলেন। পাকিস্তানের ৩ ফরম্যাটের অধিনায়ক বাবর আজমকে অধিনায়কত্ব বিষয়ে সাবেকদের বিভিন্ন সমালোচনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, সেসব নিয়েই মূলত কথা তোলেন রশিদ।
‘ইনফ্লুয়েন্সড ফ্রম আউটসাইড’– বাইরের প্রভাব যদি নিজের মধ্যে মনে করেন বাবর, সেক্ষেত্রে তাঁকে অধিনায়কত্ব থেকে সরে আসা উচিত, এমনই মনে করেন সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। এর আগেও এমন মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
তিনি মূলত বোঝাতে চাচ্ছেন, বাইরের যেসব আলোচনা ও সমালোচনা বাবরকে নিয়ে করা হয়, সেসব বেশ অসঙ্গতিপূর্ণ। সেই অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ বাবরের উপর পড়লে, তা তাঁর খেলার জন্য খারাপ প্রভাব হয়েই আসবে। এবং তাঁর যে দায়িত্ব; অধিনায়কত্ব, সেখানে তিনি ঠিকভাবে নিজের কাজ করতে পারবেননা। মনোযোগের ঘাটতি দেখা দিবে। এর ফলে, দল ও বাবর দুজনেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
মিসবাহ-উল-হক পাকিস্তান ম্যানেজমেন্টের প্রধান থাকা অবস্থায়, বাবর আজম অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তা ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের কথা। তখন সীমিত ওভারের অধিনায়ক থাকলেও, পরবর্তীতে লাল বলের অধিনায়ক হিসেবেও বাবরকে দেখা যায়। খেলোয়াড় হিসেবে ও অধিনায়ক হিসেবে দলকে ভালো অর্জনই এনে দিচ্ছিলেন এই ব্যাটার, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
এর আগে পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কামরান আকমল বাবরকে নিয়ে বলেছিলেন, বাবর জানেনা কিভাবে অধিনায়কত্ব করতে হয়। সেসময় পাকিস্তান ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের সাথে টেস্টে ৩-০ তে পরাজয় বরণ করে।
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ভারতের সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর বাবরকে নিয়ে মন্তব্য তোলেন। গম্ভীর এই পাকিস্তান অধিনায়ককে ‘সেলফিশ ক্যাপ্টেন” হিসেবে সাব্যস্ত করেন।
এবছর পিএসএলে খেলা অবস্থায় বাবর বলেছিলেন, ‘সমালোচনা সবসময়ই আছে, আপনি পারফর্ম করেন বা না করেন। সবার একেকটা মন্তব্য আছে।’
এই সমস্ত ব্যাপার থেকেই পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ বাবরকে আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বাইরের কোনো প্রভাব তিনি নিজের মধ্যে মনে করলে, বাবরের উচিত অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো।
‘আমার উপদেশ থাকবে বাবরের প্রতি, যদি তাঁকে কেউ প্রভাবিত করার চেষ্টা করে বাইরে থেকে, তাঁর উচিত অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো।’