শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে উইন্ডিজের কাছে ভারতের হার

ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজ
Vinkmag ad

ওয়ানডে শেষ হয়ে একদিনের ব্যবধানে শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বৃহস্পতিবার ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ মুখোমুখি হয়েছিল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। একসময় মনে হচ্ছিল, ভারত জয় পেয়ে যাবে সহজেই। কিন্তু সে খেলা কঠিন করে, সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪ রানে পরাজিত হয় সফরকারী দল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত হয় প্রথমে। শেষ দুই ওয়ানডেতে বাদ পড়া রোভম্যান পাওয়েল উইন্ডিজ দলের বিশ ওভার ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে ফিরে আসেন। নিকোলাস পুরান ও জেসন হোল্ডারকেও দেখা যায় একাদশে। মোটামুটি মানের বিবেচনায় শক্তিশালী একাদশ উইন্ডিজের।

ভারতীয় দলে দুইজন নতুন অভিষেক হয়। তিলক ভার্মা ও মুকেশ কুমার। মুকেশের অবশ্য টেস্ট ও ওয়ানডেতেও অভিষেক ঘটেছিল। ভার্মাকে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া এবং মুকেশকে স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ক্যাপ প্রদান করেন। হার্দিক ভার্মাকে বলেন, ‘বি প্রাউড ইউরসেলফ।‘

শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ১০ রান। ভারতের জন্য ম্যাচের সমীকরণ ছিল এমন। শেষ ওভার করতে আসেন রোমারিও শেফার্ড। প্রথম বলেই কুলদীপ যাদবকে সরাসরি ইয়র্কার লেংথে বোল্ড করেন। পরের বল কোনোভাবে ঠেকিয়ে এক রান নিলেন চাহাল। তখন স্ট্রাইক প্রান্তে দুই বাউন্ডারি খেলা অর্শ্বদ্বীপ, দুই রান নিলেন। ৩ বলে ৭ রানের সমীকরণে, এবার ডট দিয়ে বসলেন তিনি। দুই বলে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। ২ রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে ফিরলেন অর্শ্বদ্বীপ। অভিষিক্ত মুকেশ কুমারের সামনে জিততে প্রয়োজন ১ বলে ৬ রান। সে বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি মুকেশ। ফলাফল, ৪ রানে পরাজিত হয় ভারত।

এর আগে ১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় দল দলীয় ৫ রানের মাথায় শুবমান গিলকে হারায়। সূর্যকুমার যাদবের সাথে ইশান কিষানের জুটি যখন ডালপালা মিলছে সেসময় ইশান ফিরলেন ওবেদ ম্যাকয়ের বলে। পরে অবশ্য অভিষিক্ত তিলক ভার্মাকে নিয়ে যাদব খেলছিলেন দারুণ। ম্যাচটাকে সহজই করে ফেলেছিলেন নিজেদের জন্য। তবে দশম ওভারে যাদবের উইকেট এবং পরের ওভারে ভার্মার উইকেট পতনে কিছুটা সমস্যায় পরে ভারত। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার সাথে সাঞ্জু স্যামসনের ৩৬ রানের জুটি, দলকে আশা যোগাতে থাকে।

কিন্তু একই ওভারে হার্দিক বোল্ড ও স্যামসন রানআউট হলে, বেশ চাপে পড়ে সফরকারী দল। দলের তখন প্রয়োজন ২৪ বলে ৩৭ রান। আক্সার প্যাটেল এসে এক ছয়ের মার খেলেন, তবে টিকতে পারেননি। ১২ বলে ২১ রানের সমীকরণে চলে যায় ভারতীয় দল। অর্শ্বদ্বীপ সিং এসে পরপর দুই বলে বাউন্ডারি খেলে দলকে লক্ষ্যের কাছে নিয়ে যায়। কিন্তু শেষ ৬ বলে আর ১০ রানের সমীকরণ মিলাতে পারেনি পান্ডিয়ার দল।

এর আগে শুরুটা মন্দ করেনি স্বাগতিক দল। কাইল মেয়ার্স যখন ফেরে, দলের রান ২৯। কিন্তু তারপর আর ১ রান যোগ হতেই, ব্রান্ডন কিং ফেরেন ১৯ বলে ২৮ করে। দুই উইকেটই নেন চাহাল, লেগ বিফোরে। জনসন চার্লসের সাথে পুরানের জুটি দলকে কিছুটা আশা দেখাতে থাকে। ২৮ রানের জুটি ভাঙ্গে চার্লস ফিরলে। পরে আরো দুই জুটি উইন্ডিজ দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেয়। পুরান ও অধিনায়ক রোভম্যানের ৩৮ রানের এবং শিমরন হেটমায়ারের সাথে রোভম্যানের আরো ৩৮ রানের জুটি। পুরান ও রোভম্যান দুজনেই ফেরেন চল্লিশের ঘরে; ৪১ ও ৪৮ করে। অধিনায়ক হিসেবে ফিরে রোভম্যান নিজের কাজটা বেশ গুছিয়েই করেন। নির্ধারিত বিশ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।

ভারতীয় বোলারদের পক্ষে অর্শ্বদ্বীপ সিং ও যুজবেন্দ্র চাহাল দুজনেই পেয়েছেন ২ টি করে উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের পক্ষে ওবেদ ম্যাকয়, জেসন হোল্ডার ও রোমারিও শেফার্ড নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট। হোল্ডার নির্বাচিত হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আগামী ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

ভারতে ‘বাজবল’ খেলতে কতটা প্রস্তুত ইংল্যান্ড!

Read Next

তামিমের ফেলে যাওয়া ‘হট চেয়ারে’ বসছেন তাহলে কে?

Total
0
Share