

ইংল্যান্ডের নতুন খেলার ধরন, যা ‘বাজবল’ নামে পরিচিত- তা গ্রহণ করতে এখনো বেশ ভাবতে হচ্ছে ক্রিকেট-প্রেমীদের। অনেকে অবশ্য খুব সহজে গ্রহণ করে নিয়েছেন। অনেকে অনেকরকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মূলত নানা স্তরে স্বাগত সুরই দেখা গেছে। তবে এর সমালোচনা ও আলোচনা দুই’ই বজায় আছে এখনো। ইংলিশদের পরের টেস্ট সিরিজ ৬ মাস পর, ভারতে। ৫ ম্যাচের সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে জানুয়ারির ২৫ তারিখ থেকে। সেখানে ইংলিশরা কেমন করবে, সেই দেখার অপেক্ষায় আছেন অনেকেই।
শেষবার যখন ইংল্যান্ড দল ভারতের বিপক্ষে খেলে, সেবার ৩ টি টেস্টে বড় ব্যবধানে হারের দেখা পায় দলটি। ভারতের স্পিনারদের বিপক্ষে মূলত নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি তারা। যদিও সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল ইংলিশরা। জ্যাক ক্রলি সেই সিরিজে দুই ম্যাচ খেলেছিল, করেছিল মোট ৬৭ রান।
অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্ট জেতার পর ইংলিশ ওপেনার জ্যাক ক্রলি বলেন,
‘আমি খুব বেশি তাঁদের মাঠ নিয়ে জানিনা। মাঝেমধ্যে ভারতে সিম ও সুইং দেখা যায় কিছুটা এবং তাদের কিছু অবিশ্বাস্য সিমার আছে। আশা করা যায়, সেখানে কিছু পিচ থাকবে- যেখানে ভাল কিছু থাকবে, যা আমাদের জন্য কিছুটা উপকার করবে।’
ওভালের ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বেন স্টোকসের কাছেও একইরকম প্রশ্ন যায়। ভারত সিরিজের জন্য তাদের ‘অ্যাটাকিং’ দল কতটা প্রস্তুত আছে? স্টোকস অবশ্য উত্তর দিয়েছেন বেশ নির্ভার কণ্ঠে।
‘আমার মনে আছে, আমরা যখন নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারাই, (কথা চলছিল) আমরা সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে পারব না, পাকিস্তানের বিপক্ষে পারব না, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পারব না। তো কে জানে, আমরা ভারতের বিপক্ষে যদি পারি, সময়ই বলে দিবে।’
– স্টোকসের উত্তরে বোঝা যায়, তারা তাঁদের পরিকল্পনায় বেশ পরিষ্কার।
ইংল্যান্ড টেস্ট কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম; যার নামে ‘বাজবল’ খ্যাত হয়েছে, তিনি অবশ্য মনে করছেন, এটা একটা আলাদা চ্যালেঞ্জ হবে- তবে তাঁর দল সেই চ্যালেঞ্জ আলাদাভাবেই গ্রহণ করবে। এখানে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি আছে, সবকিছু মিলিয়ে সামনের জানুয়ারির একেবারে আগে আগে দল হয়তো কিছুটা লাল বলের মেজাজে ফিরবে।
ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের মতে, ‘সবাই এটা ভিন্নভাবেই করবে।’