ইয়ো-ইয়ো টেস্টে শান্ত পেলেন সর্বোচ্চ, সবার ফলাফলেই সন্তুষ্ট নিক লি

শান্ত রিয়াদ রনি
Vinkmag ad

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো মেগা আসর সামনে রেখে দেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেস যাচাইয়ে আজ হয়ে গেল ইয়ো-ইয়ো টেস্ট। যেখানে সর্বোচ্চ মার্কস পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরীক্ষায় বাজিমাত করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিম হাসান সাকিব। পাশমার্ক ধরা হয়েছিল ১৮.৬, তবে এই তিন জনের মার্কস ১৯ এর উপরে।

বিসিবির হেড অব ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স নিকোলাস লি এর তত্ত্বাবধানে আজ মিরপুরের একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হল ইয়ো-ইয়ো টেস্ট। যেখানে পাশ করতে ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সর্বোচ্চ ১৯.৫ পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথমবারের মতো  জাতীয় দলের রাডারে এসেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯.৩ নাম্বার তুললেন তরুণ বোলার তানজিম হাসান সাকিব।

মেহেদী হাসান মিরাজের প্রাপ্ত নাম্বার ১৯.২, যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। শান্ত, সাকিব, মিরাজ এই তিন জনই পেলেন কেবল ১৯ এর উপরে। সবচেয়ে কম পেলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি।

বিসিবির হেড অব ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স নিকোলাস লি ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষায় সন্তোষ প্রকাশ করেন,

‘তথ্য-উপাত্তের দিকে না তাকিয়ে, আমার মাথায় যা আছে তা থেকে বলতে পারি, সবার (টেস্টের) পারফরম্যান্স প্রায় একই রকম ছিল। এখানে এমন ক্রিকেটারও ছিল যারা সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের আশপাশে ছিল না অথবা ইনজুরিতে ছিল অথবা দলের বাইরে ছিল। তাদের কিছুটা কম ছিল। তবে সব মিলিয়ে কেউই কম গতিতে ছিল না। সবাই মোটামুটি একই ব্রাকেটে ছিল।’

সাকিব, লিটন, শরিফুল, তাওহীদ হৃদয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ব্যস্ত থাকায় তাদের টেস্ট নেওয়া সম্ভব হয়নি। তারা দেশে ফিরে আসলে বাকিদের নিয়ে আবার হবে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট। আর জিম্বাবুয়ের টি-টেন লিগ খেলে দেশে ফিরে আসা তাসকিন ও মুশফিক দুই দিন পর এই টেস্টে অংশ নেবেন। এমন পরিকল্পনাই শোনা গেল নিক লি’র মুখ থেকে,

‘যারা বিদেশি লিগ খেলে এসেছে… তাসকিন ও মুশফিক, তারা বিশ্রাম নিয়ে ২ দিন পরে (ইয়ো ইয়ো টেস্ট) করবে। যাতে ভ্রমণক্লান্তি ও ম্যাচের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারে। আমরা উইকেন্ডে করার পরিকল্পনা করছি। কানাডায় আছে লিটন, সে ফেরার পর কিছু দিন বিশ্রাম নিয়ে আলাদাভাবে দেবে এই টেস্ট। শ্রীলঙ্কায় থাকা সাকিব, শরিফুল ও হৃদয়ের ক্ষেত্রে আমরা এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে দেখব।’

জাতীয় দলের ট্রেনার এটাও নিশ্চিত করে দিয়েছেন নির্বাচকদের এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড নির্বাচনে এই টেস্টের ফলাফল খুব একটা প্রভাব রাখবে না। তবে ক্রিকেটারদের আজকের প্রাপ্ত স্কোর দেখে সামনের অনুশীলন প্রক্রিয়া চালাবে কোচিং স্টাফরা।

‘এই টেস্টিং দলে সুযোগ পাওয়া বা বাদ পড়ার কোনো অংশ নয়। এটি স্রেফ আমার, ফিজিও, মেডিকেল টিম, নির্বাচক, প্রধান কোচের বোঝার জন্য যে ক্রিকেটাররা কোন অবস্থায় আছে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের নিয়ে কেমন কাজ করতে হবে। কারও হয়তো অনেক ভালো স্কিল থাকতে পারে, তবে ফিটনেসের দিক থেকে কিছু ঘাটতি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে তারা স্কিল ট্রেনিং কিছুটা কমিয়ে ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। যারা ফিজিক্যালি অনেক ফিট, তারা বেশি স্কিল ওয়ার্ক করতে পারে। তো এটি মূলত আমাদের তথ্য দেবে যে, আমরা আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের অনুশীলন কীভাবে সাজাব।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

পিসিবিতে মিসবাহ’র কমিটিতে ইনজামাম-হাফিজ

Read Next

এশিয়া কাপে নেই তামিম, ছাড়লেন অধিনায়কত্ব

Total
0
Share