

কোলকাতার হয়ে আইপিএল খেলা মনোজ তিওয়ারির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। ভারতের জাতীয় দলের হয়েও অল্প কিছু ম্যাচ খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান। মূলত খেলেছেন ঘরোয়া লিগ। দীর্ঘ সময় বেঙ্গল দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। ১৯ বছরের ঘরোয়া ক্যারিয়ার। সম্প্রতি জানিয়েছেন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি।
২০১২ সালের আইপিএল জয়ী দলে ছিলেন মনোজ তিওয়ারি। বাংলাদেশ থেকে ছিলেন সাকিব আল হাসানও। সেবার কলকাতা নাইট রাইডার্স জিতেছিল শিরোপা। দেশের হয়ে তিওয়ারি খেলেছেন ১২ ওডিআই, ৩ টি-টোয়েন্টি- ২০০৮ থেকে ২০১৫ সময়কালে। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত দলের অংশ ছিলেন তিনি।
তিওয়ারি তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন নিজের ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচও সেখানেই খেললেন। ২০০৪ থেকে ২০২৩। দীর্ঘ ১৯ বছর সম্মানের সাথে ঘরোয়া লিগ খেলেছেন তিনি। তাঁর শেষ ম্যাচ ছিল রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল। যেখানে তিনি দ্বিতীয় ইনিংস সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। অবশ্য ম্যাচটি তারা হেরে যায় ৯ উইকেটে। প্রতিপক্ষ ছিল সৌরাষ্ট্র।
“বিদায় ক্রিকেট খেলা”- তিওয়ারি তাঁর অবসর নোটে লিখেন।
“এই খেলা আমাকে সবকিছুই দিয়েছে। আমি বুঝাচ্ছি, একদম সবকিছু, যা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। যখন শুরু করি, আমার জীবনে নানা ধরনের জটিলতা ছিল। এই খেলা ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমি সবসময় কৃতজ্ঞ। যিনি আমার পক্ষে ছিলেন।“ এছাড়াও তিনি তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনে, তাঁর কোচদের ধন্যবাদ জানান। কৃতজ্ঞতা জানান, তাঁর ভক্ত, বাবা-মা, সতীর্থ এবং বেঙ্গলের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে।
তিওয়ারি নিজের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট শেষ করেন ৯২ কম, ১০ হাজার রানে। গড় ৪৮.৫৬, ২৯ সেঞ্চুরি ও ৪৫ হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর ক্যারিয়ারে। তিওয়ারির ওয়ানডে অভিষেক ঘটে ২০০৮ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এরপর ৩ বছর তাঁকে অপেক্ষা করতে হয় পরের সুযোগের জন্য। ২০১১-২০১২ সালে কিছু ম্যাচ খেলেছেন। এরপর আবার বাদ পড়েন। পাশাপাশি সঙ্গী ছিল ইনজুরি।
তিওয়ারি মূলত কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটার ছিলেন। ঘরোয়া লিগে বেঙ্গলের হয়ে ভেঙ্গেছেন বহু রেকর্ড। তাঁর অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ। সম্ভবত কিছুটা দুর্ভাগা ক্রিকেটার, যিনি ভারতীয় দলে আরো সুযোগ পেতে পারতেন।