

উপমহাদেশে ভারতের ক্রিকেট জার্নি বেশ প্রসিদ্ধ। বিভিন্ন সময়ে ভারতে বহু ‘গ্রেট’ অধিনায়ক এসেছে। তাঁদের নিয়ে এখনো কথা হয়। তাঁদের পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা করা হয়। মনসুর আলী খান, অজিত ওয়াদেকার, সৌরভ গাঙ্গুলি- আলোচনা চলতেই থাকে। সুনীল গাভাস্কার একটা সময় পর্যন্ত ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সম্প্রতি ভারতের কংগ্রেস নেতা ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর গাভাস্কারের অধিনায়কত্ব বিষয়ে মন্তব্য করেছেন।
ভারতের দুই ‘সাকসেসফুল’ অধিনায়কের কথা তুললে কপিল দেব ও মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম উচ্চারিত হবে। অধিনায়ক থাকা অবস্থায় দুইজনই দেশের জন্য বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। গাভাস্কার অধিনায়কত্ব করেছেন ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৫ সাল অবধি। এরমধ্যে ৪৭ টি টেস্ট ও ৩৭ টি ওয়ানডে ভারত খেলেছে তাঁর নেতৃত্বে।
সম্প্রতি গাভাস্কারের অধিনায়কত্ব নিয়ে মন্তব্য করলেন ভারতের কংগ্রেস নেতা, সংসদ সদস্য; শশী থারুর। বুধবারে এক বই উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন,
“সুনীল গাভাস্কার ভারতের জন্য সেরা অধিনায়ক ছিলেন না। তবে তিনি খুব খারাপও ছিলেন না।”
সাবেক বিসিসিআই সদস্য আমৃত মাথুরের বই, ‘পিচসাইড: মাই লাইফ ইন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট’ এর উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসে তিনি এই মন্তব্য করলেন। গাভাস্কারের নেতৃত্বে ৪৭ টেস্ট খেলে ভারত জিতেছেন ৯ টি, ড্র করেছে ৩০ টি, হেরেছে ৮ টি। ৩৭ ওয়ানডে এর মধ্যে ১৪ টি জয় এবং ২১ টি ম্যাচে হার রয়েছে ভারতের।
গাভাস্কার সাধারণত ব্যক্তি হিসেবে বেশ সোজাসাপটা কথা বলতে পছন্দ করেন। মাঝেমধ্যেই তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের গঠনমূলক সমালোচনা করতে দেখা যায়। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপ-২৩, হারার পর ভারতীয় দলের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গাভাস্কার। সেসময় তিনি, ভারতীয় দলের প্রথমে ফিল্ডিং করার বিষয়টি নিয়ে কিছুটা বিরক্ত ছিলেন। পাশাপাশি ট্রাভিস হেডের শর্ট বলে দুর্বলতা, সে বিষয়টি ভারতীয় দল এত পরে উপলব্ধি কেন করল- সেসব নিয়েও আলোকপাত করেন। এছাড়াও দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার চর্চা গাভাস্কারের মধ্যে রয়েছে।