

অ্যাশেজ শেষ হলেও, এর হিসাবনিকাশ এখনো চলছে। ২-২ সমতায় শেষ হওয়া সিরিজে, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া; দুই দলই পড়েছে স্লো ওভার রেটের শাস্তির কবলে। তবে ইংল্যান্ডের দিকে শাস্তির পাল্লা কিছুটা ভারী। ইংলিশরা পুরো সিরিজে স্লো ওভার করেছে কিছুটা বেশি।
সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ ফি- এর ৫ শতাংশ জরিমানা এবং ১ পয়েন্ট কর্তন হবে, প্রতি এক ওভার স্লো করার কারণে।
অস্ট্রেলিয়া দল মোট ১০ পয়েন্ট হারিয়েছে পুরো সিরিজ মিলে। মূলত, ওল্ড ট্রাফোর্ডে হওয়া বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে স্লো ওভার কারণে এই শাস্তি পেতে হচ্ছে তাঁদের। অন্যদিকে ইংল্যান্ড হারিয়েছে ১৯ পয়েন্ট। তৃতীয় টেস্ট বাদে প্রতি টেস্টেই পয়েন্ট খুইয়েছে দলটি।
এক ম্যাচ জিতলে একটি দল ১২ পয়েন্ট অর্জন করে। ম্যাচ ড্র হলে ৪ পয়েন্ট এবং হারলে কোনো পয়েন্ট নেই। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই হচ্ছে নিয়ম।
ইংল্যান্ড দল এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে ২ ওভার, দ্বিতীয় টেস্ট লর্ডসে ৯ ওভার, চতুর্থ টেস্ট ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৩ ওভার, পঞ্চম টেস্ট ওভালে ৫ ওভার স্লো করে।
গত ১৩ জুলাই, আইসিসির বার্ষিক সভায় ওভার-রেটের শাস্তির ব্যাপারে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। পূর্বে একটা দল ১০০ শতাংশ পর্যন্তও ম্যাচ-ফি জরিমানা করা হতো, কিন্তু সেই পরিবর্তনের পর এক ম্যাচে ৫০ শতাংশ সর্বোচ্চ, জরিমানার বিধান করা হয়।
অস্ট্রেলিয়া দলকে মোট ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়। ৫ শতাংশ প্রতি ওভার স্লো করার কারণে। মোট ১০ ওভার স্লো থাকার কারণে, মোট ৫০ শতাংশ।
ইংল্যান্ডকে প্রথম টেস্টের জন্য ১০ শতাংশ, দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ৪৫ শতাংশ, চতুর্থ টেস্টের জন্য ১৫ শতাংশ, পঞ্চম টেস্টের জন্য ২৫ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করা হয়।
৫ ম্যাচ সিরিজে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের অর্জিত পয়েন্ট ছিল ২৮, সেখান থেকে কর্তন হয়েছে ১৯ পয়েন্ট, ফলে অর্জিত থাকল ৯ পয়েন্ট। অস্ট্রেলিয়ার অর্জনও ছিল ২৮ পয়েন্ট। সেখান থেকে ১০ পয়েন্ট কর্তন হয়ে থাকল ১৮ পয়েন্ট।