আমরা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পেরেছি: স্টোকস

ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ স্কোয়াডে যুক্ত হলেন বেন স্টোকস
Vinkmag ad

টেস্ট ক্রিকেটের যা প্রয়োজন, ২০২৩ অ্যাশেজ তা পূরণ করতে পেরেছে বলে মনে করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার সক্ষমতা রাখে এসব ক্রিকেট, এমনও মনে করছেন স্টোকস। শেষ হয়েছে অ্যাশেজ ২০২৩। এই সিরিজে নিজেদের নতুন ধারার ক্রিকেট খেলেছে ইংল্যান্ড। সাহসী ক্রিকেট। সিরিজ শেষ হওয়ার পর বেন স্টোকস ও প্যাট কামিন্স দুজনেই কথা বলেছেন এবারের অ্যাশেজ নিয়ে।

এমন ক্রিকেট খেলতে যে, সাহস প্রয়োজন হয়, তা একেবারেই নিশ্চিত। এ নিয়ে দ্বিতীয় কথা নেই। তবে ঝুঁকিও থাকে। সে ঝুঁকি মেনে নিয়েই ইংল্যান্ড এমন পথ বেছে নিয়েছে। কাঁটা-কঙ্করকে সঙ্গী করা।

স্টোকসকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম পেয়েছিলেন হেড কোচের দায়িত্ব। সাথে ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। বারবার সকলে উল্লেখ করেছেন, টেস্টের এই ফরম্যাট ‘বাঁচিয়ে’ রাখতে, তাঁরা কিছু পদ্ধতি মেনে ক্রিকেট খেলবেন। সেটা একটু আক্রমণাত্মক ও গতিশীল। খেলতে যেয়ে সফলতা আসে ইংল্যান্ডের পক্ষে। পদ্ধতির একটা নামকরণ হয়। ‘বাজবল’ ক্রিকেট। ২০২৩ অ্যাশেজ সিরিজে প্রথমবারের মতো বাজবলের চর্চা করল ইংলিশ দল।

“এই সিরিজ ছিল এমন, টেস্ট ক্রিকেটের যেমন প্রয়োজন ছিল। দুই ‘হাই-কোয়ালিটি’ দল ৬-৭ সপ্তাহ থেকে নিজেদের মুখোমুখি হচ্ছে।” ওভালে শেষ টেস্ট জিতে মন্তব্য করেন স্টোকস।

“আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিলাম। আবার অস্ট্রেলিয়া তাঁদের মতো করে নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমার মনেহয়, যারা খেলা দেখেছে, সবাই উপভোগ করেছে। ধারণা করছি, আপনি এর অপেক্ষাতেই থাকেন, যিনি টাকা খরচ করে আসেন এবং একটা ম্যাচ আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখতে বসেন।” বলেন স্টোকস।

২০০৫ অ্যাশেজ সিরিজ, অনেকের মতে ‘গ্রেটেস্ট সিরিজ’, স্টোকসের বয়স তখন মাত্র ১৪ বছর। স্টোকস মনে করেন ২০২৩ এর এই সিরিজ, ২০০৫ এর মতোই ‘সেরা’ কিছু হয়েছে।

“আমি আশা করি, আমরা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পেরেছি।” স্টোকস যোগ করেন।

অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক কামিন্সের সুরও অনেকটা একইরকম। গত আট মাস ধরে এই অ্যাশেজের দামামা বাজছে, পুরো ব্যাপারটা ‘বেস্ট থিংস’ হিসেবে সাব্যস্ত করতে চাইলেন তিনি।

“আপনি সবসময় কোনো এক মুহূর্তে ‘ইডিয়ট’ কিছু আশা করেন। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, তেমন কিছুই হয়নি। সবাই দারুণ এবং শুধু ক্রিকেট নিয়েই কথা বলছে আর তাঁরা কি পরিমাণ সেটা ভালোবাসে! এবং আমি জানি, অস্ট্রেলিয়াতেও ব্যাপারটা একইরকম।” মন্তব্য করেন প্যাট কামিন্স।

“অনেক দর্শক, এত মানুষ ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী। কত ভালো না এটা? এরচেয়ে ভালো হয় না। ২০০৫ এর সময় আমার বয়স বেশ কম ছিল। কিন্তু সেই সিরিজ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে, এই সিরিজও একইরকম হয়েছে।” স্টোকসের মতো ২০০৫ সিরিজের কথা স্মরণ করেন কামিন্স।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

জয় নিয়ে ব্রডের বিদায়, সিরিজ শেষ সমতায়

Read Next

এবার আর ফিরবেন না মইন!

Total
0
Share