

জিম-আফ্রো টি-টেন লিগ খেলে দেশে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিন অবশ্য নিজেকে ফিরে পেয়েছেন বহুদিন হলো। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যয় তাঁর মধ্যে সবসময়ই তীব্র। একারণেই দেশের বাইরে থেকেও খেলার প্রস্তাব এখন আসে নিয়মিতই। তবে দেশের খেলা ও ইনজুরি-চিন্তা মাথায় রেখে বড় কোনো ঝুঁকি তিনি এবং বোর্ড– কেউই নিতে চান না। সম্প্রতি জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে তাসকিন কথা বললেন সাংবাদিকদের সাথে।
১০ ওভারের খেলা। সে খেলা বোঝার সময় পাওয়া যায় খুব কম। শুধু ‘ইম্প্যাক্ট’ দেখানোর প্রতিযোগিতা মূলত। তাসকিন অবশ্য তা ভালোভাবেই দেখিয়েছেন। বুলাওয়ে ব্রেভসের হয়ে খেলতে নামা তাসকিন ৭ ম্যাচ খেলে তুলেছেন ১১ উইকেট। লিগ-পর্ব পর্যন্ত যা ছিল সর্বোচ্চ।
কেমন ছিল তাসকিনের অভিজ্ঞতা?
“জি, ব্যক্তিগতভাবে একটা ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। প্রথমবারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেললাম, অভিজ্ঞতাটা ভালোই ছিল। যদিও দল হিসেবে আমরা ফাইনাল খেলতে পারিনি। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি মোটামুটি ভালোই খেলেছি।”
জিম্বাবুয়েতে খেলতে গিয়ে দেখা হয়েছে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের সাথে। ভালো-মন্দ খোঁজখবর হয়েছে। তাসকিনের উন্নতি তাঁদের চোখ এড়ায়নি। এছাড়াও তাঁরা জানতে চেয়েছে, তাঁদের দেশে লিগ চলার সময়, তাসকিন সময় দিতে পারবে কি না। তাসকিনের অবশ্য এক্ষেত্রে ‘না’ বলার পাল্লা ভারী।
“সুযোগ তো শুধু লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ না, বিশ্বের সব লিগেই আসছে এখন অবধি। এভেইলেবেলিটিটাই ইস্যু। আল্লাহ যদি সুস্থ রাখে, দোয়া করেন সামনে আরও বড় বড় লিগে আসবে আর সামনে আরও ভালো করতে পারি।”
তাসকিন কী নিজেকে দুর্ভাগা মনে করছেন?
“না না, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ সুস্থ রাখছে এটাই সবচেয়ে বড় নিরাপদ। সুস্থ থাকলে অনেক লিগ খেলতে পারবো। আর প্লাস বোর্ড থেকে যেহেতু ডিসিশন নিছে আমার এই মুহূর্তে ওয়ার্কলোড বেশি হয়ে যেতে পারে। প্লাস তারা কম্পোলসেশনেরও কথা বলেছে। ওভারঅল ঠিক আছে।”