

দ্বিতীয় দিন শেষে অনেকটা ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা তৈরি হয়েছে অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্টে। ১৮৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসা অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়ায় স্টিভ স্মিথ, প্যাট কামিন্স, টড মার্ফি– এই তিনের সহায়তায়। ইংল্যান্ডের পেস বোলাররা দারুণ পারফর্ম করেন বলতে হয়। ১২ রানের বেশি লিড তুলতে সক্ষম হয়নি অস্ট্রেলিয়া। অলআউট হয় ২৯৫ রানে। তৃতীয় দিনে নতুন ইনিংস শুরু করবে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা।
দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে রানের খাতা খুলতে বেশ সময় নেন উসমান খাজা ও মারনাস লাবুশেইন। প্রথম বাউন্ডারি আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। যা ইনিংস শুরুর ২৩ বলের মাথায়। লাবুশেইনের ইনিংস দেখলেই বোঝা যায় বল’কে কতটা গুরুত্ব দিয়ে খেলেছেন তিনি।
৮২ বল ক্রিজে ছিলেন, রান করেছেন মাত্র ৯। ফিরেছেন মার্ক উডের পেস-বাউন্সে, পরাস্ত সৈনিকের দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন স্লিপে থাকা জো রুট। দিনশেষে রুট নিজেও তুলে নেন ২ উইকেট।
মাঠে আসা নতুন ব্যাটার স্টিভ স্মিথ দলকে এদিন পথ দেখিয়েছেন বহুদূর। তবে মাঠে তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি আদর্শ ব্যাটিং অর্ডারের অন্যরা। উসমান খাজা ফিরলেন ১৫৭ বল খেলে। ফিফটি তোলা হয়নি। ৪৭ রানে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে হয়েছেন লেগ বিফোরের শিকার। ট্রাভিস হেড একেবারেই জমাতে পারেননি। ব্রডের গুড লেংথ বল ফোর্থ স্টাম্পে, সে বল আউট-সাউড এজ হয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। ফিরেছেন মাত্র ৪ রানে।
তখনো মাঠে আছেন স্মিথ। মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারি কেউই যোগ্য সঙ্গী হতে পারেননি স্মিথের। একা ফেলে সবাই ফিরেছেন নিজের মতো। ১৬ রানে মার্শ, ১০ রানে ক্যারি। এতই দ্রুত।
মিচেল স্টার্কও ফিরলে, অধিনায়ক প্যাট কামিন্স দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে। আরো অনেকবারের মতো কামিন্সের চওড়া কাঁধ এবার স্মিথের সঙ্গ পায়। কামিন্সের সঙ্গে স্মিথ গড়েন ৫৪ রানের জুটি। দলীয় ২৩৯ রানে স্মিথ ফিরলেন। ফেরার আগে নিজের রানের খাতায় ৭১ (১২৩) রান তুলে রেখে গেলেন।
কামিন্স ছিলেন। এবার কাঁধে বসিয়ে নিলেন একাদশে ফেরা টড মার্ফিকে। এমন মুহূর্তের অপেক্ষা যেন ছিল। মার্ফির সাথে আরো ৪৯ রানের জুটি গড়েন কামিন্স৷ মার্ফি খেলেন চমৎকার এক ইনিংস। ৩৯ বলে ৩৪ রানে ফেরেন ক্রিস ওকসের শিকার হয়ে। দলীয় ২৮৮ রানে মার্ফি ফিরলে জশ হ্যাজেলউড এসে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন৷ কামিন্স ফেরেন ৮৬ বলে ৩৬ রানে। ফিরলেন রুটের বলে। অধিনায়ক স্টোকসের ক্যাচ হয়ে, দলের রান যখন ২৯৫। ততক্ষণে স্বল্প কিছু লিডের পথে ছিল অস্ট্রেলিয়া।
দিনশেষে ১২ রানের লিড দিতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া দল। ২৯৫ রানে হারিয়েছে সব উইকেট। তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামবে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের বোলারদের পক্ষে ক্রিস ওকস সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেয়েছেন। স্টুয়ার্ট ব্রড, মার্ক উড, জো রুট প্রত্যেকে পেয়েছেন ২ উইকেট করে। জেমস অ্যান্ডারসন নিয়েছেন ১ উইকেট।