

অ্যাশেজের শেষ টেস্ট শুরু হয়েছে ওভালে। ইতিমধ্যে প্রথম দিন শেষ। শেষ টেস্ট ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায়, সিরিজে এখনো এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। তবে ইংল্যান্ড সেটা জিততে পারলে ওভালের এই টেস্ট হতে পারত সিরিজ নির্ধারনী। যা হয়নি সে কথা না বলাই থাক।
পঞ্চম টেস্টের প্রথম দিন শেষ হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রাখা যেতে পারে। ২৮৩ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। এরপর ব্যাট করতে নেমে ৬১ রান তুলতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া দল। হারিয়েছে ১ উইকেট।
চার ম্যাচ পর টস জিতেছেন প্যাট কামিন্স। ইংল্যান্ডকে পাঠিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে। অপরিবর্তিত একাদশে ছিল ইংল্যান্ড। শুরুটা ভালোই করেছিল দুই ওপেনার। তবে দ্রুতই ৩ টি উইকেটের পতন ঘটে। সেখান থেকে হ্যারি ব্রুক-মঈন আলি জুটির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলীয় ১৮৪ রান পর্যন্ত ৩ উইকেটই ছিল। তবে পরের ৯৯ রান তুলতে ৭ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় দলটি।
আরো কমে ইংল্যান্ড দল আটকে যেতে পারত। তা হয়নি ক্যাচ মিসের সুযোগ দেওয়াতে। সর্বোচ্চ সংগ্রহকারী ব্রুকের ক্যাচ ফেলেছিলেন উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। যা মাত্র ৫ রানে। ৯১ বলে ব্রুক খেলেছেন ৮৫ রানের ইনিংস। যেখানে চারের মার খেলেছেন ১১ টি, ছয়ের মার ২ টি। মঈনের সাথে শতরানের জুটিও গড়েছিলেন ব্রুক।
শুরুর দুই ওপেনার ফেরার পর জোর রুট এসেও বোল্ড হয়ে যান জশ হ্যাজেলউডের বলে। ব্রুক-হ্যারির জুটি চলাকালীন অজি দলে ফেরা টড মার্ফির স্পিনে কুপোকাত হন মঈন। ৪৭ বলে ৩৪ করে ফিরতে হয় তাঁকে। বেন স্টোকস আর ব্রুকের উইকেট তুলে নেন স্টোকস। অধিনায়ক স্টোকসকে তো একেবারে ‘আনপ্লেয়েবল’ ডেলিভারিতে বোল্ড করে দিলেন এই বোলার। জনি বেয়ারস্টো ফেরেন দ্রুত। ক্রিস ওকসের সাথে মার্ক উডের জুটি দলে যোগ করে ৪৯ টি রান। এই জুটির বদৌলতে ২৮৩ পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লড়াই।
মিচেল স্টার্ক একাই নেন ৪ উইকেট। জশ হ্যাজেলউড ও টড মার্ফি নেন ২ টি করে উইকেট।
শেষ বিকেলে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়ান দুই ওপেনার। উসমান খাজা ও ডেভিড ওয়ার্নার আশা যোগাচ্ছিল তাঁদের ব্যাটিংয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত ওকসের বলে নিজেকে বিসর্জন দেন ওয়ার্নার। ৫২ বলে করেন ২৪ রান। পরবর্তীতে তিনে নামা মারনাস লাবুশেইনকে নিয়ে দিনের বাকি সময় কাটিয়ে দিয়েছেন খাজা। লাবুশেইন ২ রানে, খাজা অপরাজিত আছেন ২৬ রানে।