

কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ফের নিজের চিরচেনা বিধ্বংসী রূপে ফিরলেন আইকন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ম্যাচে জিততে পারল না তার দল মন্ট্রিয়ল টাইগার্স। ব্রামটন উলফসের ১৫ রানের রোমাঞ্চকর জয়।
গতকাল বুধবার রাতে ব্রামটন উলফসের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান দেখালেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। বল হাতে নিজের কোটার ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান খরচায় ১ উইকেট ঝুলিতে নেন সাকিব। পরে ব্যাট করতে নেমেও সাকিব আলো ছড়িয়েছেন, ২১ বলে খেলেন ২৮ রানের ইনিংস।
টস জিতে বোলিংয়ে নামা মন্ট্রিয়লের হয়ে দ্বিতীয় ওভারেই বল হাতে আক্রমণে আসেন সাকিব আল হাসান। তার প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান উসমান খান, তৃতীয় বলটিতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ওভার বাউন্ডারি মারেন অ্যারন জনসন। তবে সাকিব তাকে বিদায় করতে খুব একটা সময় নেননি। ওভারের শেষ বলে কুইকার ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন জনসনকে। প্রথম ওভারে ১১ রানে ১ উইকেটের পর পাওয়ার প্লেতে আরেকটি ওভার করে ৭ রান খরচ করেন সাকিব।
পরে ১১ তম ওভারে ফের বোলিংয়ে এসে থিতু হয়ে যাওয়া মার্ক চাপম্যান ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে আটকে রেখে সাকিব দেন স্রেফ ২ রান। পঞ্চদশ ওভারে আরেকবার বোলিংয়ে এসে দেন পাঁচটি সিঙ্গেল।
ডি গ্র্যান্ডহোমের ৪০ বলে ৫৬, উসমান খানের ২১ বলে ৩৩ ও চাপম্যানের ২২ বলে ২১ রানের ইনিংসে ব্রামটন ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৪৩ রান।
মন্ট্রিয়লের হয়ে এদিন সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। মাত্র ২১ রানে ৪ উইকেট নেন ব্র্যাথওয়েট, সমান ২১ রানেই ৪টি নেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাঁহাতি স্পিনার আয়ান আফজাল খান।
রান তাড়ায় মন্ট্রিয়ল দুই ওপেনার ক্রিস লিন ও মোহাম্মাদ ওয়াসিমকে হারায় দ্রুত। দ্বিতীয় ওভারে উইকেটে গিয়েই সাকিবের ব্যাটে হ্যাটট্রিক বাউন্ডারি। টানা তিন বলে বাউন্ডারি মারেন কানাডার বাঁহাতি স্পিনার শাহিদ আহমাদজাইকে।
পরে আরেকটি বাউন্ডারি মারেন লোগান ফন পিককে। এরপর একটু কমে যায় সাকিবের ব্যাটে রানের গতি। আহমাদজাইকে ছক্কায় উড়িয়ে এই ওভারেই বিদায় নেন সাকিব, ব্যাক্তিগত ২৮ রানে।
সাকিবের বিদায়ের পর কানাডার দিলপ্রিত সিং করেন ২০ বলে ২৪, নেপালের দিপেন্দ্র সিং আইরি ২৪ বলে ২৮। কেউই পারেননি ইনিংস বড় করতে। শেরফানে রাদারফোর্ড ১৬ বল খেলে করেন স্রেফ ১০ রান, ব্যর্থ হন কার্লোস ব্র্যাথওয়েটও। আর তাতেই মন্ট্রিয়ল টাইগার্স গুটিয়ে যায় ১২৮ রানে।