

ভারতীয় নারী দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত করের সাম্প্রতিক উগ্র আচরণ ভারতের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। এবার তিনি পেতে পারেন বড় শাস্তি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তার আচরণের উপর ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ। চীনের হ্যাংঝুতে এশিয়ান গেমসের প্রথম দুটি ম্যাচ মিস করার ঝুঁকিতে অধিনায়ক হারমানপ্রীত।
গত ২২শে জুলাই মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে চলাকালীন এবং পরে তার অপ্রীতিকর আচরণের শাস্তি হিসেবে পেতে পারেন চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট। এর ফলে দুটি আন্তর্জাতিক খেলার জন্য স্থগিতাদেশ হতে পারে।
ভারতের পরবর্তী অ্যাসাইনমেন্ট চীনে এশিয়ান গেমস। ভারতীয় দল আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে, সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে৷ হারমানপ্রীত যদি চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পান, তাহলে সে সম্ভাব্যভাবে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনাল ম্যাচ মিস করবেন। এবং শুধুমাত্র ফাইনালে খেলার সুযোগ তার থাকতে পারে, যদি দল এতদূর এগিয়ে যায়।
আইসিসি আচরণবিধির নিয়ম অনুসারে, ‘যখন কোনো খেলোয়াড় ২৪ মাসের মধ্যে চার বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্টে পৌঁছায়, তখন তারা সাসপেনশন পয়েন্টে রূপান্তরিত হয়, যার ফলে একটি নিষেধাজ্ঞা হয়। দুটি সাসপেনশন পয়েন্ট একটি টেস্ট বা দুটি ওয়ানডে বা দুটি টি-টোয়েন্টি থেকে নিষেধাজ্ঞার সমতুল্য।‘
খেলা চলাকালীন হরমনপ্রীতের আচরণ অযৌক্তিক ছিল। আউট ঘোষিত হওয়ার পর তিনি প্রথমে তার ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করেছিলেন এবং তারপরে পুরস্কার বিতরণী উপস্থাপনা চলাকালীন, ম্যাচ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কটূক্তি শুরু করেন।
আইসিসি গতকাল সোমবারই নিষেধাজ্ঞাগুলি ঘোষণা করার কথা ছিল, তবে পদ্ধতিগত সমস্যার কারণে বিলম্ব হতে পারে। স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস অনুযায়ী, ম্যাচ কর্মকর্তারা আইসিসি এবং হোম বোর্ডের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। হারমানপ্রীত বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কাছে নীতিগতভাবে তার দোষ স্বীকার করেছেন, কিন্তু তিনি আসলে এতে স্বাক্ষর করেছেন কিনা তা জানা যায়নি।
একবার নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হলে, হারমানপ্রীতের আপিল করার অধিকার রয়েছে, এই ক্ষেত্রে আইসিসি ম্যাচ রেফারি শুনানি পরিচালনা করবেন।