

ওল্ড ট্রাফোর্ডে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন শেষে স্টুয়ার্ট ব্রডের অর্জন টেস্ট ক্যারিয়ারে ৬০০ উইকেট। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা ক্রিস ওকস নিয়েছেন ৪ উইকেট। দিনশেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৯ রান।
অস্ট্রেলিয়ার একাদশে ছিল না কোনো স্পিনার। টড মার্ফির পরিবর্তে দলে ফিরেছেন ক্যামেরন গ্রিন। ব্যাটিংয়ের গভীরতা স্বাভাবিকভাবেই ছিল বেশি। এমতাবস্থায় টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চলমান অ্যাশেজে ফর্মে থাকা ওপেনার উসমান খাজাকে হারিয়ে বসে দলটি।
স্টুয়ার্ড ব্রড অবশ্য শুরু করেন ইনিংসের প্রথম ওভার। অপরপ্রান্তে ছিলেন তাঁর ‘ইতিহাস’ ডেভিড ওয়ার্নার। তবে ওয়ার্নারকে তিনি না ফেরাতে পারলেও, দলীয় ১৫ রানে খাজাকে করেন লেগ বিফোরের শিকার। দ্বিধা নিয়ে রিভিউ নেওয়া খাজা বাঁচতে পারেননি।
তিনে নামা মারনাস লাবুশেইনের সাথে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ওয়ার্নার। খুব বেশিদূর অবশ্য পারেননি। নিজের ইনিংস থামাতে হয় ৩২ রানে ক্রিস ওকসের বলে। ফুলার লেংথ ডেলিভারি ড্রাইভ করতে গিয়ে এজ হয়ে বেয়ারস্টোর হাতে গিয়ে পড়ে।
লাবুশেইন নিজের অর্ধ শতক তুলে নিয়েই ফেরেন। স্টিভ স্মিথের সাথে জুটি গড়ায় ৫৯ রানে। ৫২ বলে ৪১ করে স্মিথ ফেরেন মার্ক উডের বলে।
ট্রাভিস হেড অর্ধ শতক করার আগেই তাঁকে শিকার করেন ব্রড। খাজার উইকেট নেওয়ার পর ব্রডের পাশে বসেছিল ৫৯৯ উইকেট। আর হেডের উইকেট তুলে নেওয়ার ফলে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। জেমস অ্যান্ডারসন এন্ড থেকে ছুটে আসা সে ওভার ব্রডের জন্য থাকবে স্মরণীয় হয়ে। উইকেট পাওয়ার পর ৬০০ এর বেশি উইকেট পাওয়া বোলার অ্যান্ডারসন ব্রডকে দিলেন বাহবা।
মিচেল মার্শ ও ক্যামেরন গ্রিন। দুজনের ‘ইম্প্যাক্ট’ অস্ট্রেলিয়া দল নিতে চাইবে বৃহৎ পরিসরে। এ দুইজনের জুটিই ছিল ইনিংসের সর্বোচ্চ। ৬৫ (৭৪) রানের। মার্শ ফিরেছেন ফিফটি করে। গ্রিন ও অ্যালেক্স ক্যারিকে ফিরিয়ে ওকস তুলে নেন নিজের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট।
তবে মিচেল স্টার্ক দিচ্ছেন দায়িত্বশীলতার পরিচয়। ৭০ বলে ২৩ রান করে এখনো আছেন ক্রিজে। সাথে আছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, ৩ বলে ১ রান করে।
ক্রিস ওকস ৪, স্টুয়ার্ট ব্রড ২, মঈন আলি ও মার্ক উড শিকার করেছেন ১ টি করে উইকেট।