

গল টেস্ট ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার জন্য আশীর্বাদ হয়েই এসেছে। তবে পাকিস্তানের সামনে বড় লক্ষ্য রাখতে পারেনি লঙ্কানরা। মাত্র ১৩১ রান। অবশ্য পাকিস্তান সে রান তাড়া করতে গিয়ে শেষ সেশনে এসে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে। জিততে হলে পঞ্চম দিন ৮৩ রান প্রয়োজন সফরকারীদের।
সমীকরণ পাকিস্তানের জন্য সোজা। ৩ উইকেট হারিয়েছে বটে তারা, তবে কম লক্ষ্যমাত্রা হওয়ায় খুব বেশি প্রভাব তাতে পড়বেনা বলেই তাদের দল বিশ্বাস করবে। তবে শ্রীলঙ্কার জন্যও সুযোগটা আছে বলতে হবে। প্রবাথ জয়সুরিয়া, রমেশ মেন্ডিসরা যে ধরনের ঘূর্ণি দেখাচ্ছেন, তাতে স্বাগতিকরাও ঘরের মাঠের টেস্ট নিজেদের করে পেতে চাইবে।
১৩১ রানের লক্ষ্য নিয়ে নামা পাকিস্তান দলের ব্যাটিংয়ে প্রথম আঘাত আসে জয়সুরিয়ার পক্ষ থেকে। সপ্তম ওভারে ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ফেরেন কট বিহাইন্ড হয়ে। তিন নম্বরে নামা শান মাসুদ শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়সুরিয়ার বলেই। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে আসা নোমান আলীকেও ফিরতে হয় রান আউটের শিকার হয়ে। ফলে ওপেনার ইমাম-উল-হকের সাথে অধিনায়ক বাবর আজমকেই নামতে হয় সঙ্গ দিতে। দিনশেষে ২৫ রানে অপরাজিত আছেন ইমাম। আছেন বাবরও। পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহটা ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৮ রান।
দিনের শুরুতে শ্রীলঙ্কার ওপেনিং জুটিতে আসে ৪২ রান। তবে আবরার আহমেদের বলে দিমুথ করুনারত্নে ফিরলে, প্রথম সেশনে আরো দুই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। দ্বিতীয় সেশনে এসে ৫২ রানে ফেরেন ওপেনার নিশান মাদুশকা, নোমান আলীর বলে কট বিহাইন্ড হয়ে। সেসময় আগের ইনিংসে শতক হাঁকানো ধনঞ্জয়া ডি সিলভা প্রতিরোধ গড়েন দিনেশ চান্দিমালকে সাথে নিয়ে। দুজন মিলে তোলেন ৬০ রান। দলীয় ১৫৯ রানে চান্দিমালের পতনে সে জুটি ভাঙে। সাদিরা সামারাবিক্রমার পতনও ঘটে দ্রুত।
এসময় ডি সিলভাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন রমেশ মেন্ডিস। সপ্তম উইকেট জুটিতে মেন্ডিসকে সাথে নিয়ে সিলভা গড়েন ৭৩ রানের জুটি। আবরারের বলে রমেশ ফেরেন ৪২ রানে। দলীয় ২৬৯ রানে ডি সিলভার পতনের পর, পরের দুই ব্যাটার আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। ডি সিলভা খেলেন ১১৮ বলে ৮২ রানের ইনিংস।
এই ইনিংসে পাকিস্তানের বোলারদের পক্ষে আবরার আহমেদ ও নোমান আলী নেন ৩ টি করে উইকেট। শাহীন শাহ আফ্রিদি ও আগা সালমান নেন ২ টি করে উইকেট।