

প্রবাথ জয়সুরিয়ার তোপ সামলাতে ভালোই হিমশিম খেতে হয়েছে পাকিস্তানকে। ৩১২ রানে শ্রীলঙ্কাকে থামিয়ে দেওয়া পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে ১০১ রানেই হারিয়ে বসেছিল ৫ উইকেট। সেখান থেকে আগা সালমান ও সৌদ শাকিলের নিরাপদ ব্যাটিংয়ে কিছুটা দিশা খুঁজে পেয়েছে সফরকারীরা। দিনশেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানের সংগ্রহ তুলেছে দলটি। পিছিয়ে আছে ৯১ রান।
প্রথম দিন ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান করে দিন শেষ করে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিনে এসে বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রানের সংগ্রহ তুলতে সক্ষম হয় তারা। গতকাল সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে থাকা অপরাজিত ব্যাটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা আজ দেখা পেয়েছেন সেঞ্চুরির। খরচ হয়েছে ১৭৫ বল। লেজের ব্যাটারদের নিয়ে ভালো চেষ্টাই করে গেছেন ডি সিলভা। আউট হয়েছেন ১২২ (২১৪) রান করে।
পাকিস্তান ব্যাট করতে এসে অবশ্য খেলতে পেরেছে মাত্র ৪৫ ওভার। কারণটা অবশ্যই বৃষ্টি। তবে ব্যাট করতে এসে শুরুতে বেশ বিপাকেই পড়তে হয়েছিল পাকিস্তান দলকে। ওপেনিং ব্যাটার ইমাম-উল-হক ফিরে যান দলীয় ৩ রানে। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে এক্সট্রা টার্নে এজ বানিয়ে ফেরান প্রবাথ জয়সুরিয়া। জয়সুরিয়া আজ শ্রীলঙ্কার নায়ক ছিলেন। শফিকের ফেরা দলীয় ৪৭ রানে। এর ২০ রান পর রমেশ মেন্ডিসের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন শান মাসুদ। পাকিস্তান দল তখন অনেকটাই বিপদে।
ব্যক্তিগত ১৩ রান করে বাবর আজমকে ফেরান সেই জয়াসুরিয়া। দলের হাল ধরবেন কে, তাই নিয়ে তখন এলোমেলো ভাবনা। ক্রিজে সৌদ শাকিলের সাথে তখন সরফরাজ আহমেদ। উইকেটরক্ষক সরফরাজও টিকতে পারলেননা বেশিক্ষণ। জয়সুরিয়ার লেগ বিফোরে ফিরে গেলেন দলীয় ১০১ রানে।
৫ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান। এই অবস্থায় দলকে একটু একটু করে আশা দেখাতে শুরু করেন শাকিলের সাথে আগা সালমান। দুজনেই টেস্ট দলে নতুন। ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কম। তবুও যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দুজন দিয়েছেন, তা কম নয়। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১৪৮ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন দুই ব্যাটার। ৮৪ বলে ৬১ রানে অপরাজিত আছেন আগা সালমান। অন্যদিকে ৮৮ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত আছেন সৌদ শাকিল। এই অবস্থায় পাকিস্তান দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের পক্ষে প্রবাথ জয়াসুরিয়া নিয়েছেন ৩ উইকেট। রমেশ মেন্ডিস ও কাসুন রাজিথা নিয়েছেন ১ টি করে উইকেট।
পাকিস্তানি বোলারদের পক্ষে ৩ টি করে উইকেট পেয়েছেন ৩ জন। শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আবরার আহমেদ। আগা সালমান পেয়েছেন ১ টি উইকেট।