প্রোটিয়া যুবাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

FB IMG 1689610464881
Vinkmag ad

বিভাগীয় শহরে খেলা। রাজশাহীর কামারুজ্জামান স্টেডিয়াম। আগ্রহভরা চোখগুলো তাকিয়ে ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ এর তরুণ ক্রিকেটারদের দিকে। ২-২ এ সিরিজে ছিল সমতা। দুই দলের জন্যই ছিল সিরিজ জেতার লড়াই। বাংলাদেশের যুবারা অবশ্য জয়টা নিজেদের করে নিয়েছে। নিরাশ করেনি রাজশাহী তথা দেশবাসীকে।

৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল সাউথ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সিরিজের শেষ দু’টি ম্যাচ ছিল রাজশাহীতে। ২-২ সততায় থাকা সিরিজ জিততে আজ শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দল দুইটি। সেখানে বাংলাদেশের যুবারা উপহার দিয়েছে ৩ উইকেটের দারুণ এক জয়।

২১১ রানের লক্ষ্যমাত্রা। ৫০ ওভারে পেরোতে হতো বাংলাদেশকে। ৪৮ রানে ২ উইকেটের পতন ঘটলেও, স্বাগতিকদের পক্ষে আদিল বিন সিদ্দিক ও আরিফুল ইসলাম মিলে ৮৭ রান যোগ করেন দলের খাতায়। ৫৮ (৭০) রান করে আদিল ফেরায়, ভেঙে যায় সে জুটি। আরিফুল তখনো ছিলেন।

৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তখন। আরিফুল একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন। খুব সহজেই পেরোনো যাবে এমন একটা পরিস্থিতি। কিন্তু গোলমাল কিছুটা বাঁধে ১৮৩ ও ১৮৯ রানে দুইটি উইকেট পড়ে যাওয়ায়। এর একটি আবার আরিফুল ইসলামের। আরিফুল ফিরেছেন ৭৬ বলে ৬৮ রান করে।

৭ উইকেট হারিয়ে যখন ১৮৯ রান বাংলাদেশের, তখন মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও রাফিউজ্জামান রাফি মিলে ৪৭.১ ওভারে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন।

এর আগে টস হারে সাউথ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারানো সাউথ আফ্রিকাকে কিছুটা আশার যোগান দেয় তাঁদের চতুর্থ উইকেট জুটি। সে জুটিতে ৫২ রান তোলেন ডেভিড টিগার ও রিচার্ড সেলেস্টওয়ান।

আরিফুলের বলে সেলেস্টওয়ান ফিরলেও ক্রিজে ছিলেন টিগার। জুয়ান জেমসকে সঙ্গী করে ৪৪ রান যোগ করেন দলের খাতায়। টিগার অবশ্য ফেরেন দলীয় ১৪৫ রানে, ব্যক্তিগত ৬৩ (৮৯) রান করে।

এরপর উইকেট পতন হয়েছে ক্ষণে ক্ষণে। শেষ দিকে লিয়াম আলডারের ৮ বলে ২০ রান দলের খাতায় কিছুটা পূর্ণতা এনেছিল। তবে ৫০ তম ওভার খেলতে গিয়ে আলডার ফিরে গেলে, সব উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। ফলে ২১০ রানেই থামতে হয় তাঁদের।

বাংলাদেশের বোলারদের পক্ষে মাহফুজুর রহমান রাব্বি নিয়েছেন ৩ উইকেট। রোহানাত-দ্দৌলাহ-বর্ষণ, রিজান হোসেন, রাফিউজ্জামান রাফি প্রত্যেকেই নেন ২ টি করে উইকেট। আরিফুল ইসলাম নিয়েছেন ১ উইকেট।

সাউথ আফ্রিকার বোলারদের পক্ষে লিয়াম আলডার একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাকি ৩ উইকেট নিয়েছেন জুয়ান জেমস। অন্য বোলাররা ছিলেন উইকেটশূন্য।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন: আরিফুল ইসলাম। পারফরম্যান্স: ৬৮ রান ও ১ উইকেট।

সিরিজ সেরা হয়েছেন: রাফিউজ্জামান রাফি। পারফরম্যান্স: ১৪ উইকেট, ৬৭ রান।

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

হৃদয়কে গা’লি দিয়ে শাস্তি পেলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই

Read Next

শাকিল-সালমানের ব্যাটে আশা দেখছে পাকিস্তান

Total
0
Share