

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি জয় অবশ্যই বাড়তি আনন্দের। বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য জয়ের পেছনের কারিগরদের জন্য যা নিঃসন্দেহে অতিমাত্রার ভালো লাগার বিষয়। ম্যাচের পর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তাওহীদ হৃদয় শোনালেন শামীম পাটোয়ারীর সঙ্গে গড়া তার অনবদ্য জুটির গল্প। প্রকাশ করলেন কি পরিকল্পনা একে তারা এগিয়েছেন জয়ের পথে। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট নিয়ে করলেন আলোকপাত।
শামীম হোসেন ও তাওহিদ হৃদয়: আফগান বোলারদের উপর দুজনেই রীতিমতো তান্ডব চালানেন ইনিংসের শেষ ওভারগুলোতে। ম্যাচের মোমেন্টাম নিজেদের প্রান্তে আনতে সবচেয়ে বেশি রান খরচ করান আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ফজলহক ফারুকিকে। মাত্র, ৪৩ বলে খেলা তাদের অনবদ্য ৭৩ রানের জুটিতে জয়ের পথটা সহজ হয়ে যায় টাইগারদের।
শামীম হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে জুটি গড়ে যা করতে চেয়েছিলেন হৃদয়,
‘শামীমকে বলেছিলাম যে আমি, তুই দুজনই ব্যাটার। এরকম ম্যাচ অনেক জিতিয়েছি ঘরোয়া ক্রিকেটে। যেহেতু আমরা মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করি, এরকম পরিস্থিতি আমরা আগেও মোকাবিলা করেছি। আমি একটা কথায় বলেছিলাম যে যদি আমরা একটা-দুইটা ওভারে মোমেন্টাম নিতে পারি তাহলে খেলাটা ঘুরে যাবে। আল্লাহর রহমতে আমরা সেটা করতে পেরেছি এবং দুইটা ওভারেই মোমেন্টাম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল।’
শামীম-হৃদয় বেশ দেখেশুনেই রাশিদ-মুজিবদের শেষ ওভারগুলো খেলছিলেন। আর চার্জ করে বসেন আফগানিস্তানের সেরা পেসার ফজলহককে। নিজেদের ম্যাজিক ফর্মুলা কিংবা কি পরিকল্পনা ছিল; গণমাধ্যমের সামনে তা-ই বলে গেলেন তাওহীদ হৃদয়,
‘আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল। দেখেন বিশ্বের সেরা স্পিন আক্রমণ ওদের। ওদের বিপক্ষে রান করাটা একটু কঠিন। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনাগুলো ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যেকটা ম্যাচই খুব চ্যালেঞ্জিং থাকে প্রতিপক্ষ যেই হোক। কারো না কারো শক্তির জায়গা থাকেই। যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম, সেটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আমরা ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি এবং সবসময় আমাদের মাথায় ছিল যে পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা খেলব।’
এমন ম্যাচ জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই তৃপ্তির ঢেকুর উঠছে তাওহীদ হৃদয়ের। হার-না-মানা ইনিংস খেলে দলকে জেতানো হৃদয়ের কাছে যা এক অন্যরকম অনুভূতি।
‘এই ধরনের ম্যাচ যে দলের বিপক্ষেই জিতি না কেন সবসময়ই আত্মবিশ্বাস আসে। এরকম ম্যাচ খুব কমই হয়। আমি যেহেতু ছিলাম, এরকম জায়গা থেকে ম্যাচটা শেষ করে আসতে পেরে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগছে। কারণ এরকম পরিস্থিতি সবসময় আসে না। যখন আসে তখন ভালোভাবে কাজে লাগানোর লক্ষ্য প্রত্যেকটা ব্যাটারের থাকে। সেটা করতে পেরে আলহামদুলিল্লাহ।’