

টেস্টে খুব বাজেভাবে হারার পর ওয়ানডেতে ফিরে আসে আফগানিস্তান। ২-১ এ জিতে নেয় সিরিজ। সিলেট এখন অপেক্ষায় আছে টি-টোয়েন্টি জন্য। যা শুরু হচ্ছে আগামীকাল। আজ বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কথা বলেছেন প্রেসের সাথে। কোন দল ফেভারিট, পেসারদের রোটেশন, তামিমের অবসর, নিজের লক্ষ্য– ইত্যাদি বিষয়গুলো উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে।
সাকিব যে বরাবরই ইতিবাচক তা তাঁর কথা ধরনেই বোঝা যায়। যেসব জিনিস ‘ভাবায়’ সেসব জিনিস নিয়ে কথা বলতেই রাজি থাকেননা এই বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২-১ ওয়ানডে সিরিজ হারার পর কোন দল ‘ফেভারিট’, এমন প্রশ্ন যখন আসে সাকিবের কাছে, সাকিব তখন উত্তর দেন,
‘আমরা দুইটা ম্যাচই জিততে চাই, যদিও এত সহজ হবে না। ফেভারিট আপনি যাকে ইচ্ছা নিতে পারেন।’
উত্তরদাতার চেয়ারে বসে ‘নানারূপ’ প্রশ্নের ভিড়ে সাকিব আল হাসান শান্ত কণ্ঠে জবাব দিয়ে যান, জায়গা রাখেননা আর দ্বিতীয় ভাবনার। সাকিবের কাছে প্রশ্ন আসে পেসারদের রোটেশন করিয়ে খেলা ও এর উপকার বাংলাদেশ দল কেমন ভোগ করছে, সে নিয়ে।
‘অবশ্যই এটা খুবই ভালো যে দুই বিভাগই এখন শক্তিশালী। সবাই অবদান রাখছে।ব্যাটাররা ওদের জায়গা থেকে, পেসার, স্পিনাররাও। আমাদের সাথে এখন যে কেউ অতো বেশি স্পিনিং উইকেটও দিবে না, এত পেস বান্ধব উইকেটও দিবে না। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় এডভান্টেজ। সবাই যেন বিশ্বকাপ পর্যন্ত ফিট থাকে, যে ৪-৫ জন স্কোয়াডে আছে। ভালো কিছু যদি এনে দিতে হয় তাহলে শুধু ফাস্ট বোলার না সবারই ফিট থাকা জরুরী।’
তামিমের অবসর-ঘটনা নিয়ে দিন কয়েক ভীষণ তোলপাড় ছিল ক্রিকেট অঙ্গন। সাকিব জানালেন, বাইরে থেকে অনেকরকম মনে হতে পারে। ড্রেসিংরুম নিয়ে সাকিবের কখনোই কোনো অসুবিধা মনে হয়নি। এমনকি জিতে যাওয়া বা হেরে যাওয়ার পরেও ড্রেসিংরুমের পরিবেশে খুব একটা পরিবর্তন দেখেননা তিনি।
লক্ষ্য নিয়ে সাকিব আল হাসানের উত্তর বরাবরই একরকম। খুব বেশি লক্ষ্য ঠিক করে আগাতে পছন্দ করেননা তিনি। যদিও বলেন, তবুও তাঁর মনের কোণে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু করার ক্ষুধা বা কোনো লক্ষ্য অবশ্যই উঁকি দিয়ে যায়। এতটুকু সাকিবকে অনুমান করাই যায়।
‘লক্ষ্য আসলে জানি না। বিশ্বকাপ পর্যন্ত চেষ্টা করব যত বেশি অবদান রাখতে পারি, তখন পরের পরিকল্পনা করতে পারব। যেকোনো রেকর্ডই অনুপ্রেরণা দেয়। নিজের কাছে অবশ্যই ভালো লাগবে। ভালো করার প্রেরণা কাজ করে। দিনশেষে কতটা ভালো হয়েছে অবসর নেওয়ার পর বোঝা যাবে। আমি সবসময় দলের জন্য অবদান রাখতে চাই। যেহেতু দুইটা সাইড, দুই সাইডেই অবদান রাখতে পেরেছি দেশের হয়ে এটাই ভালো লাগে।’